UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ২৮শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৩ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খুলনায় বিচারকের স্বাক্ষর নকল করে কোটি টাকা আত্মসাৎ : আটক-২

usharalodesk
জুন ১, ২০২১ ৬:১৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো প্রতিবেদক : খুলনার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সুনন্দ বাগচীর স্বাক্ষর জাল অথবা স্ক্যান করে কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদক কার্যালয়ে মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় আজ(মঙ্গলবার) সংশ্লিষ্ট আদালতের দুই কর্মচারী গ্রেফতার হয়েছে। এরপর এদিনে তাদেরকে খুলনা বিভাগীয় স্পেশাল জজ আদালতে সোপর্দ করা হলে তাদের দুইজনকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

সোমবার(৩১ জুন) দুদক খুলনার উপ-পরিচালক মো. নাজমুল হাসান বাদী হয়ে  এই মামলাটি দায়ের করেছেন । গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রসেস সার্ভার-জারিকারক এমএম নাহিদুল ইসলাম ও মো. নাজমুল হাসান। মঙ্গলবার (০১ জুন) দুপুরে দুদক খুলনার উপ-পরিচালক মো. নাজমুল হাসান এবিষয়টি নিশ্চিত করেন।

জানা গেছে, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সুনন্দ বাগচীর স্বাক্ষর জাল অথবা স্ক্যান করে আদালতের প্রসেস সার্ভার-জারিকারক এমএম নাহিদুল ইসলাম ও মো. নাজমুল হাসান পরস্পর যোগসাজশে ভুয়া বিল ভাউচার তৈরি করে খুলনা বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কার্যালয়ে দাখিল করতেন। চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের আনুষঙ্গিক খাতে (কোড নং- ৩২৫৫১০৫) বরাদ্দ না থাকা সত্ত্বেও বিভাগীয় হিসাবরক্ষণ অফিসের অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সহযোগিতায় ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২১ সালের ২৩ মার্চ পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ২ লাখ ২৪ হাজার ৪০ টাকার বিল ছাড় করেন। ওই অর্থ চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত নামীয় খুলনার খানজাহান আলী রোডের জনতা ব্যাংক লিমিটেডে জমা হয়। এরপর নাহিদুল ইসলাম ও নাজমুল হাসান চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত সুনন্দ বাগচীর স্বাক্ষর স্ক্যান করে তার কার্যালয়ের ভুয়া স্মারক ব্যবহার করে ব্যাংকটির শাখা ব্যবস্থাপকের বরাবর জমা দিয়েছিলেন।

ওই পত্রে আসামি ২ জনের একই ব্যাংকের পৃথক ২টি হিসাব নম্বরে টাকা জমা দেওয়ার অনুরোধ করেন। পরে জনতা ব্যাংক শাখার অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চিঠি কোনোরূপ যাচাই না করে ও হিসাবধারীকে ফোনে না জানিয়ে ভুয়াপত্রের ফটোকপির ওপর ভিত্তি করে আসামিদের ব্যক্তিগত হিসাবে টাকা ট্রান্সফার করেন। আসামিরা ব্যক্তিগত একাউন্টের চেকের মাধ্যমে সরকারি অর্থ নগদায়ন করে আত্মসাত করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বাদী দুদক খুলনার উপ-পরিচালক মো. নাজমুল হাসান জানান, আসামিরা খুব কৌশলে আদালতের বিচারক সুনন্দ বাগচীর স্বাক্ষর জাল/স্ক্যান করেন। তারপর ব্যাংকেও ভুয়া স্মারকের মাধ্যমে নিজ নিজ অ্যাকাউন্টে টাকা ট্রান্সফার করেন। সর্বমোট সরকারি এক কোটি দুই লাখ ২৪ হাজার ৪০ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

(ঊষার আলো-আরএম)