ঊষার আলো ডেস্ক : পুলিশি হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের বিচার এবং চা শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়াসহ একাধিক দাবিতে গণসংহতি আন্দোলনের সচিবালয় ঘেরাও কর্মসূচিতে বাধা দিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে মিছিল নিয়ে সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার সময় জিরো পয়েন্ট পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। এতে চার জন আহত হয়েছেন বলে দাবি গণসংহতি আন্দোলনের।
আহতরা হলেন- গণসংহতির সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভুঁইয়া, জুয়েল হোসেন, আরমানুল হক ও সৌরভ।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, বর্তমানে আমাদের মাথাপিছু আয় কত তা চা-শ্রমিকরা অঙ্ক করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। ন্যায্য মজুরির দাবিতে তারা অনেকদিন ধরেই আন্দোলন করে আসছেন। তবে সরকার তাদের দাবির ব্যাপারে উদাসীন। তারা আর তো রাষ্ট্র দখল করতে আসে নাই। এবং তাদের আন্দোলনে এখানে কোনো রাজনৈতিক পক্ষও ঢোকে নাই। তাহলে তাদের এ ন্যায্য দাবি কেন মানা হচ্ছে না। দিন দিনই চা পাতার দাম বাড়ছে। চায়ের রপ্তানিও বেড়েছে, তাহলে শ্রমিকদের বেতন বাড়ে না কেন।
আওয়ামী লীগকে উদ্দেশ্য করে সাকি বলেন, আপনারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বিক্রি করে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছেন। অসাম্প্রদায়িকতা এবং ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলে তারা নির্দিষ্ট শ্রেণির কাছে ভালো সাজতে চাচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে কেউ কথা বললেই তারা তাদের রাজাকার বা পাকিস্তানি ট্যাগ লাগিয়ে হেনস্তা করছে।
বিক্ষোভে বক্তব্য দেন গণসংহতি আন্দোলনের দীপক রায়, বাচ্চু ভুঁইয়া, মাসুদ রানা, মনির উদ্দিন ও জুলকার নাইন বাবু প্রমুখ।
(ঊষার আলো-এফএসপি)