ঊষার আলো ডেস্ক : হালকা হলুদ রঙের দেখতে হলেও তার নাম সোনালু ফুল। অপরূপ সৌন্দর্যের নাম গ্রীষ্মের ফুল সোনালু। ষড়ঋতুর বাংলাদেশে বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য মাসেই চোখে পড়ে সোনালুকে। এই ফুল আর আগের মত চোখে পড়ে না। টুকটাক যাও চোখে পড়ে তাও অনেকেই এর নাম জানে না।
এ ফুল দেখতে যেমন আকর্ষণীয় তেমনি রয়েছে নামের নানা বাহার- সোনালু, সোনাইল, সোঁদাল আর কেউ বলেন বান্দরলাঠি। শীতকালে সব পাতা ঝরার পর বসন্তে একেবারেই মৃতের মতো দাঁড়িয়ে থাকে গাছটি। গ্রীষ্মের শুরুতে দু’একটি কচিপাতার সঙ্গে ফুল ফুটতে শুরু করে। হলুদ সোনালি রঙের অসংখ্য ফুল সারা গাছজুড়ে ঝাড় লণ্ঠনের মতো ঝুলতে থাকে। দীর্ঘ মঞ্জুরিদণ্ডে ঝুলে থাকা ফুলগুলোর পাপড়ির সংখ্যা পাঁচটি।
এ ফুল সর্ম্পকে আরও জানা যায়, সোনালু গাছ যত্ন করে না লাগালেও আপন মনেই বেড়ে ওঠে। গরু-ছাগল এ গাছ খায় না। বেড়ে ওঠার সময় সোনালু ফুলের গাছ তেমন দৃষ্টিতে না পড়লেও ফুল ফোটার পর দেখে সবার মন-প্রাণ প্রশান্তিতে ভরে যায়।
সবুজ রঙের একমাত্র গর্ভকেশরটি কাস্তের মতো বাঁকানো। এ গাছের ফল বেশ লম্বা, লাঠির মতো গোল, তাছাড়া ফল, ফুল ও পাতা বানরের প্রিয় খাবার। এজন্য এ ফুলের আরেক নাম বান্দরলাঠি।
দেশের মধ্যে বগুড়াতেই এই ফুলের শোভা দৃশ্যমান। বগুড়ার শেরপুরের মহিপুরে একটি পরিত্যক্ত ইটভাটা এলাকায় পরপর তিনটি সোনালু গাছে দেখা গেছে অপরূপ সোনালু ফুল। মহাসড়ক সংলগ্ন গাছগুলিতে অপরূপ ফুলের সৌন্দর্যে পথচারীরা থমকে যান।
পূর্ব-এশিয়া থেকে আগত এই ফুলের বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে ক্যাশিয়া ফিস্টুলা। ইংরেজী নাম গোল্ডেন শাওয়ার। এক সময় এ গাছ আমাদের উপমহাদেশে ছিল। মহাকবি কালিদাসের ‘মেঘদূত’ কিংবা ব্যাসের ‘ভগবত’ সব খানেই এ ফুলের গুণ-কীর্তন করা হয়েছে। দেশের গ্রামাঞ্চল ছাড়াও জাতীয় সংসদ ভবন, মিরপুর বোটানিক্যাল গার্ডেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্কেসহ বিভিন্ন সড়কের মাঝপথে সোনালু ফুলের গাছ দেখা যায়।
(ঊষার আলো-এমএনএস)