বোর্ডের কড়া নির্দেশ— ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতেই হবে। রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিরা কথা মেনেছেন। খেলেছেন এবং বিতর্ক আরও বাড়িয়েছেন। ভারতের ক্রিকেটে এমন গোলমেলে অবস্থার মাঝে ঘি ঢেলেছেন কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার। তিনি কয়েকটি প্রশ্ন তুলেছেন, যা রোহিতকে এবং কোহলিকে সরাসরি আক্রমণ করার মতো!
দীর্ঘদিন পর রঞ্জি ট্রফিতে খেলেছেন রোহিত। ফর্ম হারিয়ে ধুঁকতে থাকা এই তারকা আলোর নিচে অন্ধকার হয়েই ছিলেন। রান পাননি। ব্যর্থ হয়েছে তার দলও। জাতীয় দলের আরেক ওপেনার যশস্বী জয়সওয়ালেরও একই দশা। এরা তো তবু খেলেছেন, বিরাট কোহলি নিজেকে সরিয়ে নিয়েছিলেন চোটের কথা বলে। ভারতের সাবেক তারকা সুনীলের প্রশ্ন, আদৌ চোটে পড়েছিলেন কোহলি?
গাভাস্কার মনে করিয়ে দিয়েছেন, গত বছর ঈশান কিষান এবং শ্রেয়াস আইয়ার ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলায় বোর্ডের চুক্তি হারিয়েছিল। সেই চুক্তি হারানোর ভয়ই হয়ত রোহিতদের মাঠে নামিয়েছে। ঘাড়ের ব্যথা বলে খেলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়া কোহলিকে একটু ঘুরিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন গাভাস্কার।
তার ভাষ্য, ‘এই ক্রিকেটাররা রঞ্জি না খেললে বোর্ড কী করে সেটাই বেশি আগ্রহের বিষয়। ওরা কি সত্যিই চোট পেয়েছে? আর চোট পেলে ওরা কি ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে গিয়েছে যেমনটা নিতীশ কুমার রেড্ডিকে পাঠানো হয়েছে। এই তারকাদের তো বোর্ডের ছাড়পত্র না পেলে জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়াই উচিত নয়।’
ভারতের কিংবদন্তির ধারণা ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলার মানসিকতায় ছিল না রোহিত-জয়সওয়ালরা, ‘বিসিসিআই এবং কোচ নির্দেশ দিয়েছিল বলেই রঞ্জিতে নেমেছে ভারতীয় ক্রিকেটারেরা। হয়তো ওদের খেলার কোনও ইচ্ছাই ছিল না।’
‘শৃঙ্খলা, একতা ও ইতিবাচক পরিবেশ’ নিশ্চিতে মনোযোগী ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের পারফরম্যান্স নিম্নগামী। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সবশেষ সিরিজ হারে হাতছাড়া হয়েছে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল। তাই বোর্ডের অনুমতিতে ভারতের কোচের কড়া নির্দেশনা, ‘মাই ওয়ে অর হাইওয়ে’। নিয়ম মেনে চলো, নয়তো ভাগো। সিনিয়র বিরাট কোহলি কিংবা তরুণ ঋষভ পান্ত— ১০ দফা নিয়মের কোনো একটি ভাঙলেও হতে পারে শাস্তি।
ঊষার আলো-এসএ
