ঊষার আলো রিপোর্ট : হলের সিট দখলকে কেন্দ্র করে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) ছাত্রী জলি খাতুনকে নির্যাতনের পর ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকি দিয়েছেন একাধিক সিনিয়র ছাত্রী। জলি খাতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রেহানা হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্রী। শুক্রবার নিজের নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর আবেদন করেছেন তিনি।
আবেদনপত্রে জলি খাতুন বলেন, তিনি বর্তমানে তার বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী লাবণির সিটে অবস্থান করছেন। তাকে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি হল প্রভোস্ট শামসুননাহার পপি স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ২০১ নম্বর কক্ষে ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী রুহিনি মন্ডলের সিটে আবাসিকতা প্রদান করা হয়। তবে পড়াশোনা শেষ হলেও তিনি ওই সিটে অবস্থান করছেন মাসের পর মাস। এ বিষয়ে তিনি হল প্রভোস্টকে একাধিকবার জানালেও সমস্যার সমাধান হয়নি। বরং চতুর্থ বর্ষে পড়ার সময়েও হল প্রভোস্ট তাকে গণরুমে থাকতে বলেন।
অন্যদিকে বর্তমানে তার অবস্থান করা সিটে পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী প্রিয়া মন্ডলকে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়। প্রিয়া মন্ডল বৃহস্পতিবার রাতে তার বান্ধবী আনিকা, সোনিয়া, নিপুণসহ আরও ৫ জনকে নিয়ে এসে জোর করে তাকে কক্ষ থেকে মালামালসহ বের করে দেন।
এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এই সিট থেকে তাকে নামানোর জন্য প্রিয়া মন্ডল ও তার বান্ধবী আনিকার নেতৃত্বে আরও ৭-৮ জন ছাত্রী জলিকে হলের ছয়তলার ছাদে নিয়ে হুমকি-ধমকি দেন। তারা তাকে ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ার হুমকিও দেন। এ সময় তাকে নানাভাবে নির্যাতন করা হয় বলে তিনি আবেদনপত্রে উল্লেখ করেন।
এ বিষয়ে শিক্ষার্থী জলি খাতুন বলেন, আমার নামে সিট বরাদ্দ হওয়ার পরও আমাকে সিটে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না। আবার আমাকে হল থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে প্রিয়া মন্ডল ও তার বান্ধবীদের হুমকিতে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করা অনিরাপদ মনে করছি। এ বিষয়ে আমি বিশ্ববিদ্যালয় ও হল প্রশাসনের যথাযথ পদক্ষেপ কামনা করি।
এ নিয়ে বক্তব্য জানতে প্রিয়া মন্ডলের নম্বরে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেনননি। শেখ রেহানা হলের প্রভোস্ট শামসুননাহার পপির মোবাইলে বিভিন্ন নম্বর থেকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি বারবার কল কেটে দেন।
সহকারী প্রভোস্ট রাকিবুল হাসান বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না।
প্রক্টর ড. মো. কামরুজ্জামান বলেন, আমি বিষয়টি নিয়ে প্রভোস্টকে কল দিলেও তিনি কল ধরেননি। এ নিয়ে অন্য একজন সহকারী প্রভোস্টের সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করি জলি খাতুনের আবাসনের সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।
ঊষার আলো-এসএ