UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ৮ই মে, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

জনসন তোপে সিরিজ খোয়াল পাকিস্তান

ঊষার আলো
নভেম্বর ১৬, ২০২৪ ৬:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ক্রীড়া ডেস্ক : অস্ট্রেলিয়ায় ইতিহাস গড়ে ওয়ানডে সিরিজ জয় করলেও টি-টোয়েন্টির সিরিজ হার এড়াতে পারল না পাকিস্তান। সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে সাত ওভারের ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ২৯ রানে হারার পর দ্বিতীয় ম্যাচে লড়াই করে হেরেছে ১৩ রানে।

সিডনিতে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৪৭ রান সংগ্রহ করে অস্ট্রেলিয়া। পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট শিকার করেন হারিস রউফ। এছাড়া তিনটি উইকেট নিয়েছেন আব্বাস আফ্রিদি।

এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ নিশ্চিতের লক্ষ্যে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু পায় অসিরা। কোনো উইকেট না হারিয়েই দলীয় ফিফটি পার করেন স্বাগতিক দুই ওপেনার। তবে এর পরই ছন্দ হারিয়েছে দলটি।

জ্যাক ফ্র্যাসার ম্যাকগার্ক ৯ বলে ২০ রান করে সাজঘরে ফিরতেই শূন্য রানে ফেরেন জস ইঙলিশ। এরপর সাজঘরের পথ ধরেন আরেক ওপেনার ম্যাথু শর্টও। ১৭ বলে ৩২ রান আসে এই ওপেনারের ব্যাট থেকে।

টানা ধাক্কা সামাল দিতে গিয়ে ব্যাটিংয়ে রান তোলার গতি কমে যায় অস্ট্রেলিয়ার। তবুও শেষ রক্ষা হয়নি। নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে দলটি।

যদিও শেষ পর্যন্ত অলআউট হতে হয়নি অস্ট্রেলিয়াকে। তবে স্কোরবোর্ড আটকে যায় দেড়শর আগেই।

তবে সেই টার্গেটই যেন বেশ বড় এবং অধরা হয়ে দাঁড়াল ব্যাটারদের কাছে। এক অসি পেসার স্পেনসার জনসনের সামনেই যেন একে একে মুখ থুবড়ে পড়ল মোহাম্মদ রিজওয়ান-বাবর আজমরা।

দলের হয়ে এক উসমান খান যা একটু লড়াই করতে পেরেছেন। দলীয় সর্বোচ্চ ৫২ রান আসে তার উইলো থেকে। এছাড়া ইরফান খান ২৮ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থাকলেও তা পাকিস্তানের জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।

অধিনায়ক রিজওয়ান (১৬), বাবর আজম (৩), সাহিবজাদা ফারহান (৫), সালমান আলি আঘারা (০) চরমভাবে ব্যর্থ হওয়ায় লক্ষ্য থেকে ১৩ রান দূরে থাকতেই শেষ হয়ে যায় সফরকারীদের ইনিংস।

অন্যদিকে ১৩ রানের জয়ের সঙ্গেই ২-০ ব্যবধানে টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে ওয়ানডে সিরিজ হারের প্রতিশোধ নিল জস ইঙলিশের দল।

অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এদিন বল হাতে রীতিমত আগুন ঝরান বাঁহাতি পেসার স্পেনসার জনসন। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৬ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট শিকার করেন ২৮ বছর বয়সি এই পেসার। যা তার টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম ফাইফার। সঙ্গে হয়েছেন ম্যাচের সেরাও।

ঊষার আলো-এসএ