UsharAlo logo
শনিবার, ১১ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৭শে পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর দিন ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস’

koushikkln
ডিসেম্বর ১৩, ২০২২ ১১:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো রিপোর্ট : একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ঠিক আগে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হারানোর দিন। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর দিনে দখলদার পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তার দোসর রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস পরিকল্পনা করে দেশের বুদ্ধিজীবীদের ওপর এই হত্যাযজ্ঞ চালায়। দেশের স্বাধীনতা ও মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসের এই দিনটি কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসটি সারাদেশে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে।

পরাজয়ের আগ মুহূর্তে চরম প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ওঠে পাকিস্তানিরা। পাকিস্তানি সেনাদের এদেশীয় দালালরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসসহ বিভিন্ন স্থান থেকে শিক্ষক, সাংবাদিক, চিকিৎসক, আইনজীবী, প্রকৌশলী, সংস্কৃতিক কর্মীসহ বিভিন্ন পেশার প্রথিতযশা ব্যক্তিদের অপহরণ করে নিয়ে যায়। বিজয়ের স্বাদ গ্রহণের আগে নিদারুণ যন্ত্রণা দিয়ে রায়েরবাজার ও মিরপুরে বধ্যভূমিতে নিয়ে তাদের গুলি চালিয়ে হত্যা করে।

যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস-২০২২ পালনের লক্ষ্যে জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাজধানীতে দিবসটি উপলক্ষে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হবে। দেশের সব জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ বেতার, বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ অন্যান্য বেসরকারি টিভি চ্যানেল দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে বিশেষ অনুষ্ঠান প্রচার করবে।

এদিকে যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৪ ডিসেম্বর (বুধবার) শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন ও ১৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগ, খুলনা সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসন, জেলা ও নগর বিএনপি, ওয়ার্কার্স পার্টি, সিপিবি, বাসদসহ বিভিন্ন দল, সংগঠন বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সকাল ৯টায় শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সম্মুখে কালোব্যাজ ধারণ, সকাল ৯টা ১০ মিনিটে উপাচার্য কর্তৃক জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল ৯টা ৩০ মিনিটে অদম্য বাংলায় শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, সকাল ১০.৩০ মিনিটে আলোচনা সভা, বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল, বেলা ১২টা ৩০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় মন্দিরে প্রার্থনা এবং সন্ধ্যা ৫.৩০ মিনিটে শহিদ মিনার ও অদম্য বাংলায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন।
১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- সকাল ৬টা ৩০ মিনিটে শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সম্মুখে উপাচার্য কর্তৃক জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৬টা ৪০ মিনিটে উপাচার্যের নেতৃত্ব অদম্য বাংলায় শোভাযাত্রা সহকারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ, সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, বেলা ১২টায় অদম্য বাংলা চত্বরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান, বিকাল ৪টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মুক্তমঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও চলচিত্র প্রদর্শনী। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রশাসন ভবন, মেইন গেট, হাদি চত্বর পর্যন্ত রাস্তা ও গাছপালা, অদম্য বাংলা ও তৎসংলগ্ন গাছপালা, ক্যাফেটেরিয়া ইত্যাদি আলোকসজ্জা করা হবে।

শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন উপলক্ষে খুলনা প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে ১৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ১২টা ০১ মিনিটে গল্লামারি স্মৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ। এছাড়া আগামীকাল ১৪ ডিসেম্বর সকাল ১১ টায় ক্লাবের হুমায়ূন কবীর বালু মিলনায়তনে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। ক্লাবের সকল স্থায়ী সদস্য ও অস্থায়ী সদস্যদের এসকল কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক মামুন রেজা।