৩৭তম জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতায় ১০টি ইভেন্টে অংশ নিয়ে ৯টিতে সোনা জেতা নেত্রকোনার ছেলে তন্ময় নতুন জাতীয় রেকর্ড গড়েছেন। নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা উপজেলার চন্দ্রপুর গ্রামের এই সন্তান নিজ জেলাকে করেছেন গর্বিত।
জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতার প্রতিযোগিতায় যুব ১৮-২০ গ্রুপে গড়লেন নতুন জাতীয় রেকর্ড। ১০টি ইভেন্টে অংশ নিয়ে ৯টিতে সোনা জেতা তন্ময় একটিতে গড়েছেন নতুন জাতীয় রেকর্ড।
১০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে ৫৫.২১ সেকেন্ডে তিনি সাঁতার শেষ করেন। ভেঙে ফেলেন ২০২১ সালে গড়া গোপালগঞ্জ সুইমিং ক্লাবের সাঁতারু মো. ইসলামের ৫৫.৩৪ সেকেন্ডের আগের রেকর্ডটি। ৪০০ মিটার ফ্রি স্টাইলে অংশ নিয়েছিলেন।
যে ইভেন্টে ২০১৫ সালে বিকেএসপিরই আরেক সাঁতারু আরিফুল ইসলাম ৪ মিনিট ২৮ সেকেন্ডে শেষ করে রেকর্ড গড়েছিলেন। তার সামনে সুযোগ ছিল সেই রেকর্ডও ভাঙার। স্বর্ণপদক জিতলেও তন্ময় ১৩ সেকেন্ড বেশি সময় নিয়ে শেষ করেছেন নিজের হিট।
বারহাট্টা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে সাঁতারে প্রথম হয়েছিলেন, জিতেছেন বেশ কয়েকটি পুরস্কার। গ্রামের পুকুরে সাঁতার কাটা এ ছেলে বিকেএসপিতে আসার আগে জানতেন না সাঁতারেরও বিভিন্ন ধরন আছে। সুইমিংপুলেও সাঁতার কাটা যায়।
পূর্ব অভিজ্ঞতা ছাড়াই ৩৭তম জাতীয় বয়সভিত্তিক সাঁতারে সবার সেরা হলেন হাওরাঞ্চলে বেড়ে ওঠা তন্ময়। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানান, প্রবল ইচ্ছাশক্তি, অধ্যবসায় আর নিজের কৌশলকে কাজে লাগিয়ে মানুষ অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে, অধরাকে ধরতে পারে।
তিনি বলেন, ‘২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে বিকেএসপিতে ভর্তি হই, শুরুতে কোচরা সন্তুষ্ট ছিলেন না। কারণ আমি যে সাঁতারের কোনো ব্যাকরণই জানতাম না। তারপর আমার কোচ সাঈদ স্যার, মনিরুজ্জামান স্যার আমাকে সব শিখিয়েছেন। দেড় বছর পর আমি কোনো জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ নিই। আর আজ এখানে। বিকেএসপির ডিজি স্যারের কাছেও কৃতজ্ঞ, তিনি অনেক সুযোগ সুবিধা দিয়েছেন আমাদের।’
তার এবারের লক্ষ্য ২০২৬ সালে জাপানে আসন্ন এশিয়ান গেমসে স্বর্ণপদক জয়। পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা পেলে এই আয়োজনে সোনা জিততে পারবেন বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস তন্ময়ের।
ঊষার আলো-এসএ