বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলায় নারীর শ্লীলতাহানী ও মারপিটের ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিয়ে আরো বিপাকে পড়েছে একটি পরিবার। আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে এসে আসামীরা মামলার বাদীসহ ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারকে নানাভাবে হুমকী ধামকী দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মামলা প্রত্যাহার না করলে বাদীকে হত্যার হুমকী পর্যন্ত দিয়ে উল্টো বিপাকে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। উপায়ন্তর না পেয়ে এ ঘটনায় আসামীদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় সাধারন ডায়েরি করেছেন ভুক্তভোগী।
থানায় মামলা ও পরে হুমকীর ঘটনায় করা জিডি সূত্রে জানা গেছে, শরনখোলা উপজেলার পূর্ব রাজাপুর গ্রামের ফারুক মাতুব্বরের স্ত্রী বেবী বেগমকে একই গ্রামের আঃ জলিল উক্তাত্ত করে আসছে। যা নিয়ে গত ৬ আগষ্ট কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে মামলার আসামী জলিল শেখ, তার ছেলে জাহিদ শেখসহ তাদের সঙ্গীয় ৩/৪ জন লোক ফারুক মাতুব্বর ও তার স্ত্রী বেবী বেগমকে বেধড়ক মারপিট করে এবং বেবী বেগম কে শ্লীলতাহানি ঘটায়। পরে আহত অবস্থায় এ দম্পতি শরনখোলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে ১০ আগষ্ট থানায় গিয়ে মামলা করেন। আব্দুল জলিল শেখ কে প্রধান করে ৫ জনের বিরুদ্ধে শরণখোলা থানায় বেবী বেগম বাদী হয়ে মামলা করলে পুলিশ জলিল শেখ গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরন করে।
পরে, আব্দুল জলিলসহ মামলার সকল আসামীরা আদালত থেকে জামিন নিয়ে বাড়ীতে আসে। আসামীরা জামিনে এসে আরো বে-পরোয়া হয়ে মামলার বাদীনি ও তার স্বামীকে মামলা তুলে আনার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ দিচ্ছে। এমনকি মামলা প্রত্যাহার করে না আনলে বাদীপক্ষকে খুন জখমের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলার বাদীনির স্বামী ফারুক মাতুব্বর গত ১৯ আগষ্ট আসামীদের বিরুদ্ধে শরণখোলা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শরণখোলা থানার এসআই হাবিব বলেন, বেবী বেগমের মামলার তদন্ত চলছে। পরে থানায় জিডি করার বিষয়টিও এ মামলার সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। খুব দ্রতই এ মামলায় আদালতে চার্জশীট দেওয়া হবে।
(ঊষার আলো-আরএম)