ঊষার আলো স্পোর্টস: সুপার টুয়েলভ ম্যাচে নেদারল্যান্ডস’র বিপক্ষে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ফলে জয় দিয়ে শুরু হলো বাংলাদেশের বিশ্বকাপ। বাংলাদেশের বিপক্ষে সম্ভাবনায় নিজেদের এগিয়ে রেখেছিল পরাজিত নেদারল্যান্ড। তারা বলেছিল এই ম্যাচ জিতলে সেটা কোন অঘটন হবে না! কিন্তু ক্রিকেট তো আর কথা দিয়ে জেতা যায় না। প্রতিপক্ষকে শুরুতেই চেপে ধরে ৯ রানে জিতেছে সাকিব আল হাসানের দল। এই নৈপুণ্যে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ১৫ বছরের জয় খরাও কাটালো বাংলাদেশ।
১৪৫ রানের টার্গেট দেওয়া বাংলাদেশের জয়ের মূল কারিগরই ছিলেন পেসার তাসকিন আহমেদ। প্রথম ওভারে দুই বলে দুই উইকেট তুলে চাপে ফেলে দেন ডাচদের। সেই চাপ সইতে না পেরে রান আউটে পড়েছে আরও দুই উইকেট। এতে ১৫ রানে ৪ উইকেট পড়ে যায় ডাচদের। অধিনায়ক স্কট অ্যাডওয়ার্ডস ও কলিন অ্যাকারম্যান ৪৪ রানের জুটিতে ইনিংস এগিয়ে নিলেও লাভ হয়নি তাতে। পরে অ্যাকারম্যান তো লড়াকু এক ফিফটিতে চেষ্টা করে গেছেন। ৪৮ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৬২ রান করা এই ব্যাটারকে দলীয় ১০১ রানে থামিয়ে দেন তাসকিন। এর পরেও লড়াই চালিয়ে গেছে ডাচরা। যেখানে শুরুর ধাক্কায় আরও আগেই বাংলাদেশের জয়ের সম্ভাবনা ছিল। সেখানে শেষটায় দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ব্যবধান কমাতে কিছু টা সফল হন পল ফন মিকারেন। তার ১৪ বলে ২৪ রানের ক্যামিও ইনিংস নেদারল্যান্ডকে ১৩৫ রান পর্যন্ত নিয়ে যায়! শেষ বলে তার উইকেট নিয়ে নেদারল্যান্ডকে অলআউট করেছেন সৌম্য সরকার।
জয়ে অবদান রাখা তাসকিন ২৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হয়েছেন। যা তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং। ১৫ রানে দুটি নেন হাসান মাহমুদ। ৩২ রানে একটি উইকেট নেন সাকিব আল হাসান, ২৯ রানে সমসংখ্যক উইকেট সৌম্য সরকারেরও। সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ২০ ওভারে ১৪৪/৮ (আফিফ ৩৮, শান্ত ২৫, মোসাদ্দেক ২০*; ফন মিকারেন ২/২০, ডি লিড ২/২৯)। নেদারল্যান্ড ২০ ওভারে ১৩৫/১০ (অ্যাকারম্যান ৬২, অ্যাডওয়ার্ডস ১৬; তাসকিন ৪/২৫, হাসান ২/১৫)