ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাওয়াতুন নেছা (৫৭) নামে এক নারী ও প্রফেসর আব্দুল লতিফ (৭৭) নামে এক শিক্ষাবিদের মৃত্যু হয়েছে। বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের করোনা ইউনিট সুত্রে জানা গেছে, করোনা আক্রান্ত হয়ে হাওয়াতুন নেছা সদর হাসপাতালে মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) ভর্তি হন। বুধবার (১৪ এপ্রিল) ভোর ৫টার দিকে তিনি মারা যান। হরিণাকুন্ডু উপজেলার হামিরাটি চাঁদপুর গ্রামের আনসার আলী কটার স্ত্রী। ৬ দিন আগে তার স্বামী আনসার আলী করোনায় মারা যান। অন্যদিকে বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও প্রাথমিক ও গনশিক্ষা বিভাগের ডিজি আব্দুল লতিফ করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ৩০ মার্চ ঢাকার ধানমন্ডি এলাকার ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৭টার দিকে তিনি মারা যান।
উল্লেখ্য, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরু হলে প্রাইমারির প্রধান শিক্ষক পবহাটী গ্রামের আফরোজা বেগম, একই গ্রামের লিলি বেগম, ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ঘোড়শাল ইউনিয়নের যদুড়িয়া গ্রামের রিনা বেগম, হামিরহাটী চাঁদপুরের আনসার আলী মন্ডল কটা, কালীগঞ্জের আইনজীবী আশরাফুজ্জামান, কালীগঞ্জের বেজপাড়া গ্রামের গোলাম কিবরিয়ার স্ত্রী রহিমা খাতুন ও তার মেয়ে সালমা আক্তার মুন্নি এবং শৈলকুপার ফুলহরি গ্রামের দরবার আলী করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফাউন্ডেশনের লাশ দাফন কমিটি করোনা আক্রান্ত ও করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ৭৪ জনের লাশ দাফন করেছে।
(ঊষার আলো-এমএনএস)