বাংলাদেশ প্রেস ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ বলেছেন, গণমাধ্যমই খুঁজে খুঁজে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরেছে বলে ছাত্র-জনতার আন্দোলন সফল হয়েছে। ভুল তথ্য সরবরাহ করে কোনো সরকার বেশি দিন ক্ষমতায় থাকতে পারে না। তথ্যই হলো একটি পরাশক্তি।
২৮ সেপ্টেম্বর সকালে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।
পিআইবি মহাপরিচালক বলেন, তথ্য জনগণের জন্য অধিকার। তথ্য লুকিয়ে রাখার মধ্য দিয়ে দুঃশাসন কায়েম হয়। উন্নয়নের ফাঁকি, পরিসংখ্যানের ফাঁকি গণমাধ্যম প্রকাশ করেছিল বলেই মানুষ বিগত সরকারের কুকর্ম সম্পর্কে জানতে পেরেছিল। তথ্য যাতে মানুষ জানতে না পারে- এজন্য তথ্য ও খবর গুম করা হয়েছিল। এগুলো যাতে আর না হয় সেজন্য আমাদের সজাগ থাকতে হবে।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, মানুষ যদি তথ্যের অধিকার পায়, তাহলে সেই তথ্য নিজেই জনগণের জন্য বিরাট শক্তি হয়ে ওঠে। যাবতীয় গোপন চুক্তি, গোপন কার্যকলাপ, জনগণের বিরুদ্ধে করা ষড়যন্ত্র, লুটপাটের খবর মানুষ যদি আরও আগে জানতে পারতো—তাহলে আরও আগেই মানুষের মুক্তি সম্ভব হতো।
তিনি বলেন, তথ্যের অধিকারের বিষয়টি পাঠ্যপুস্তক, সরকারি প্রচার, সব জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া দরকার। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে তথ্যের অধিকার বিষয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা গেলে তারাই তাদের পরিবার-সমাজের জন্য তথ্যের লড়াই চালিয়ে যেতে পারবেন।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ছিল ‘রাষ্ট্রের মূলধারায় তথ্য অধিকারের সংযুক্তি এবং সরকারি খাতের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ’ এবং স্লোগান ছিল ‘কর্তৃপক্ষের সকল দ্বার খুলে দেবে তথ্য অধিকার’।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার ম. জাভেদ ইকবাল। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিচালক মো. তবিবুর রহমান, খুলনা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক এনামুল হক, ইউএনবির ব্যুরো প্রধান শেখ দিদারুল আলম, উমেশচন্দ্র পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আনোয়ারুল কাদির, সচেতন নাগরিক কমিটির সদস্য রিনা পারভীন,
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. নাজমুল হুসেইন খাঁন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) তাছলিমা আক্তার মানবাধিকার কর্মী মিজানুর রহামন ও শেখ আব্দুল হালিম। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন টিআইবির প্রতিনিধি আব্দুল্লাহ আল মামুন।