তেরখাদা প্রতিনিধি : তেরখাদা উপজেলা সদর ইউনিয়নের আটলিয়া গ্রামের স্বামী পরিত্যাক্তা মহিলা পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে মারপিটের দুদিন পর বোনের বাড়িতে মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায় আটলিয়া এলাকার মৃত মজলিস ভুঁইয়ার মেয়ে স্বামী পরিত্যাক্তা রাশিদা বেগম (৩৫) মায়ের সাথে আটলিয়ায় বাবার বাড়িতে বসবাস করেন। গত বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) সকাল আটটার সময় প্রতিবেশী হাফেজ মজুমদারের বাড়িতে তার পাওনা টাকা চাইতে গেলে সেখানে হাফিজ মজুমদারের স্ত্রী রুবি বেগম ও মেয়েদের সাথে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
পরবর্তীতে রাশিদা বেগম পাশে চাচাতো বোন নাসিমা বেগমের বড়িতে যায় কিছুক্ষণ পরে হাফিজ মজুমদারের স্ত্রী রুবি বেগম ও তার মেয়ে তানিয়া বেগম নাসিমার বাড়িতে এসে রাশিদা বেগম (৩৫)কে হাত ও লাঠি দ্বারা এলোপাতাড়ি মেরে মারাত্মকভাবে আহত করে ফেলে রেখে যায় যখম অবস্থায়।
পরে সেখান থেকে তাকে নাসিমা বেগম ও আশেপাশের লোকজন উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে থেকে দুপুর দুইটার দিকে বড় বোন চাহিনাদের বাড়ি পানতিতায় যান।সেখানে গত শুক্রবার রাতে খাবার না খেয়ে শুধু ঔষধ খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। শনিবার ভোরবেলা বাড়ির স্বজনরা তাকে ডাকতে গেলে বিছানায় অচেতন অবস্থায় দেখতে পেয়ে আশেপাশের লোকজনকে খবর দিলে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।
উল্লেখ্য যে মৃত রাশিদা বেগমের শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলা ফোলা দাগ চিহ্ন রয়েছে এবং জানা যায় তিনি একজন মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী। এ বিষয়ে তেরখাদা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ জহুরুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন লাশ পোস্টমর্টেমের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত চলছে তদন্ত শেষে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(ঊষার আলো-এফএসপি)