থাইল্যান্ড-মালয়েশিয়া সীমান্তবর্তী শহর সুংগাই কোলকের জেলা অফিসের বাইরে ১০ জনের বেশি হামলাকারী অতর্কিত গুলি চালিয়েছে। পাশাপাশি বিস্ফোরক নিক্ষেপ ও বোমা বিস্ফোরণ ঘটায়। হামলায় অফিস পাহারায় থাকা দুই প্রতিরক্ষা স্বেচ্ছাসেবক নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছেন; যাদের মধ্যে চারজন বেসামরিক নাগরিকও রয়েছেন। মালেশিয়ার মালয় মেইল ও সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট শনিবার সন্ধ্যায় এ তথ্য জানিয়েছে।
থাইল্যান্ডের দক্ষিণাঞ্চল ঐতিহাসিকভাবে দেশটির বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ থেকে সাংস্কৃতিকভাবে পৃথক। এক শতাব্দীরও বেশি সময় আগে থাইল্যান্ড এই অঞ্চলকে তার নিয়ন্ত্রণে নেয়। বিদ্রোহের কারণে এলাকাটি সবসময়ই নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকে। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়থংতার্ন শিনাওয়াত্রা এই হামলার পর রাতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করার নির্দেশ দিয়েছেন।
তিনি জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সংখ্যা বাড়ানো হবে এবং টহল ব্যবস্থা আরও কঠোর করা হবে।
থাইল্যান্ডে এই হামলার পর প্রতিবেশী দেশ মালয়েশিয়াও তাদের সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার করেছে। রোববার, দেশটির ইন্সপেক্টর জেনারেল রাজারুদিন হুসেইন জানিয়েছেন, মালয়েশিয়ার পুলিশ থাইল্যান্ডের নারাথিওয়াত প্রদেশের পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল থাকবে।
মালয়েশিয়ার সীমান্তে মোতায়েনকৃত বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে এবং সীমান্তবর্তী অবৈধ পারাপারের স্থানগুলোতে বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনীর স্ট্রাইক ফোর্স কোম্পানি ও গোয়েন্দা ইউনিটকে ‘সংবেদনশীল এলাকাগুলোতে’ বিশেষ টহল দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, থাইল্যান্ডের পাত্তানি, ইয়ালা ও নারাথিওয়াত প্রদেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। দেশটির নাগরিকদের অপ্রয়োজনীয় ভ্রমণ এড়ানোসহ ওই অঞ্চলে থাকা মালয়েশিয়ান নাগরিকদের মালয়েশিয়ান কনস্যুলেটে উপস্থিত হয়ে নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে নিরাপত্তার স্বার্থে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
ঊষার আলো-এসএ