ঊষার আলো প্রতিবেদক : নগরীর দৌলতপুর পাবলা বনিকপাড়ায় গত ২৮ জানুয়ারি বীনাপানি প্রাইমারী স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী অঙ্কিতা নিখোঁজের ৬ দিন পর অর্ধ গলিত লাশ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে (১৬৪ ধারা) অঙ্কিতাকে কম্বলের প্রলোভন দেখিয়ে প্রথমে ধর্ষণ এবং পরে ঘটনা ধামাচাপা দিতে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যার কথা প্রকাশ করে ওই একই এলাকার কোটিপতি প্রভাত রুদ্রের ছেলে প্রীতম রুদ্র। অঙ্কিতার লাশ উদ্ধারের পর হতে এ ঘটনার সুস্থ বিচারের দাবিতে বিভিন্ন সংগঠন সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলে। যে ব্যানারে আলোচনা শীর্ষে রয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদসহ তাৎকালীন বণিকপাড়া নাগরিক সমাজ (বর্তমানে বণিকপাড়া সোসাইটি) ও অন্যান্য সামাজিক সংগঠনগুলো। সকলের একটাই প্রশ্ন দরিদ্র পিতা সুশান্ত যেন তাঁর মেয়ের হত্যার সুষ্ঠ বিচার পায়। তবে আশ্চার্যের বিষয় হলো আলোচিত এই অঙ্কিতা হত্যার রক্ত না শুকাতেই অঙ্কিতা হত্যার সঠিক বিচার পাওয়াতে আন্দোলনরত নেতাদের চোখের ফাঁক দিয়ে ইতিমধ্যেই পাবলা এলাকায় আরেক কিশোরী ধর্ষণে শিকার হয়েছে। যা ইতিমধ্যেই প্রায় ধামা চাপায় পড়ে গেছে। ঘটনাটি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি দুপুর আড়াইটার দিকে দৌলতপুর থানাধীন পাবলা দফাদারপাড়া মুকুলভান্ডারের সামনে সংগঠিত হয়েছে। নড়াইল সদরের শেখ হাটি গ্রামের মেয়ে (১৬) প্রেমিক হেমায়েত কর্তৃক ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ফোনের প্রেমের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়। ধর্ষক হেমায়েত উদ্দিন (২৪) একই গ্রামের আবুল হোসেন ছেলে। হেমায়েত তার চাচাতো ভাই আলামিনের খালি ঘরে ভালবাসার ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করে। পরবর্তীতে ভিকটিমের প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হলে কথিত প্রেমিক ধর্ষক হেমায়েত তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায় ও সেখানে ভর্তি করে।
সূত্র জানায়, চিকিৎসকগনের জিজ্ঞাসাবাদে সন্দেহের আভাস পেলে ধর্ষক হেমায়েতকে খুমেক হাসপাতালের প্রিজন সেলে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে দৌলতপুর থানা পুলিশ।
এ ব্যাপারে দৌলতপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযুক্ত আসামী গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছেন এসআই রবিউল ইসলাম। এ ব্যাপারে ভিকটিমের ভাই বাদী হয়ে গত ১ মার্চ দৌলতপুর থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলা নং- ০৩, তাং- ১-৩-২১।