ক্রমশ তীব্রতর হচ্ছে আমাদের ধ্বংসাত্মক মানসিকতা, যা সভ্যতাকে গুরুতর ঝুঁকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড লিডারস ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটের উদ্বোধনী অধিবেশনে ভাষণ দিতে গিয়ে এমন মন্তব্য করেছেন অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কমাতে বিলাসী জীবনাচরণ পরিহারের আহ্বান জানিয়েছেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওয়ার্ল্ড লিডারস ক্লাইমেট অ্যাকশন সামিটে দেওয়া ভাষণে তিনি জীবাশ্ম জ্বালানি, কার্বন নিঃসরণ কমানো এবং অপচয়মুক্ত পৃথিবী গড়ার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
ভাষণে ড. ইউনূস বলেন, বুদ্ধিবৃত্তিক, আর্থিক এবং যুবশক্তিকে কাজে লাগিয়ে নতুন সভ্যতার ভিত্তি স্থাপন করতে হবে।
এর আগে, মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, ড. ইউনূস বিশ্বের অন্তত ২০টি দেশের শীর্ষ নেতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রধানদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
সাক্ষাৎ করা নেতাদের মধ্যে রয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুইজ্জু, ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগে এবং নেপালের প্রেসিডেন্ট রামচন্দ্র পাউডেল। এসব বৈঠকে তিনি দক্ষিণ এশিয়ার আট দেশের শীর্ষ প্ল্যাটফর্ম সার্কের পুনরুজ্জীবনের আহ্বান জানান।
এছাড়া বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী, ঘানার প্রেসিডেন্ট, বসনিয়া হার্জেগোভিনার প্রধানমন্ত্রী, রুয়ান্ডার প্রেসিডেন্ট, আলবেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী, মন্টিনিগ্রোর প্রেসিডেন্ট, বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী, ব্রাজিল ও ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট, ফিফা সভাপতি এবং আইওএমের মহাপরিচালকের সঙ্গেও তিনি আলোচনা করেন।
এ সময় সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ানকে তিনি ধন্যবাদ জানান। জুলাই অভ্যুত্থানে সংহতি প্রকাশ করা বন্দি ৫৭ বাংলাদেশি নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার জন্য আমিরাতের প্রেসিডেন্টকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ড. ইউনূস।