ঊষার আলো রিপোর্ট : ভোগ্যপণ্য ও মেগা প্রকল্পের যন্ত্রপাতি আমদানির পরিমাণ বাড়ার পাশাপাশি নানামুখী জটিলতায় চট্টগ্রাম বন্দরে বাল্ক পণ্যবাহী ও কার্গো জাহাজের জট সৃষ্টি হয়েছে। একেকটি কার্গো জাহাজে বন্দরের বার্থিং পেতে সময় নিচ্ছে ১৫ থেকে ১৮ দিন। সে তুলনায় কন্টেইনারবাহী জাহাজগুলো ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যেই বার্থিং পেয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় শিপিং এজেন্টদের অভিযোগ, লাখ লাখ মার্কিন ডলার জরিমানা দিতে হচ্ছে তাদের।
বন্দরের বহির্নোঙরে বর্তমানে ১৫৭টি জাহাজের অবস্থান করছে। এর মধ্যে পণ্য খালাসের জন্য বন্দরের জেটিতে বার্থিং অপেক্ষায় রয়েছে অন্তত ৬০টি জাহাজ। এর মধ্যে ১৩টি কন্টেইনারবাহী জাহাজ বাদে বাকিগুলো বাল্ক পণ্যবাহী। এতে বার্থিং না পেয়ে বন্দরের বহির্নোঙরেই জাহাজের জট বড়ছে। ১৫ দিনের আগে কোনো কার্গো ভ্যাসেল বার্থিং পাচ্ছে না বলে অভিযোগ শিপিং এজেন্টদের।
ব্যবসায়ীরা বলছে, রমজানকে সামনে রেখে ভোগ্যপণ্য আমদানির পরিমাণ বাড়ছে, পাশাপাশি মেগা প্রকল্পগুলোর যন্ত্রপাতি আসছে কার্গো জাহাজে করে। এ অবস্থায় কন্টেইনারবাহী জাহাজগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতেই বন্দরের জেটিতে বার্থিং পাচ্ছে। ফলে কার্গো জাহাজগুলোকে ১৫ থেকে ২০ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করছে। জরিমানা গুনতে হচ্ছে লাখ লাখ মার্কিন ডলার।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ সদস্য মোহাম্মদ জাফর আলমের দাবি করেছেন, সিঙ্গাপুরসহ বড় বড় বন্দরগুলোতে জাহাজ জট সৃষ্টি হওয়ার কারণে প্রভাব পড়ছে চট্টগ্রাম বন্দরে।
বর্তমানে বন্দরের বহির্নোঙররে ৪৩টি এবং প্রধান জেটির ১৩টিতে পণ্য খালাস হচ্ছে। জট কাটাতে জাহাজ মেরামতের ২ টি ডক ইয়ার্ডে বাল্ক পণ্যবাহী জাহাজ ভেড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
(ঊষার আলো- এম.এইচ)