যশোর প্রতিনিধি : নেশার টাকা না পেয়ে ৮ মাসের অন্তঃসত্বা রুমা খাতুন নামে এক গৃহবধুকে শ্বাস রোধ করে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৫ মে) রাতে যশোর জেলার বেনাপোল পোর্ট থানার শিবনাথপুর বারোপোতা গ্রামে নিহতের শ্বশুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পুলিশ কাউকে আটক করেনি।
রুমা খাতুন পোর্ট থানার শিবনাথপুর বারোপোতা গ্রামের সাফিউল রহমানের ছেলে আরিফুল ইসলাম টুটুলের স্ত্রী ও একই থানার ইছাপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে।
স্থানীয়রা বলেন, আরিফুল একজন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসাক্ত ছিল। নেশার টাকা না পেয়ে রাতে তাকে কোন এক সময় শ্বাসরোধ করে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। রুমা আট মাসের অন্তঃসত্বা ছিল।
রুমার চাচাতো ভাই শামিম হোসেন বলেন, যেখানে লাশ ঝুলানো ছিল সেখানকার উচ্চতা ছিল মাত্র ৫ ফুট। রুমার পা মাটিতে বেধে ছিলো। এতে ধারনা করা হয় তারা রুমাকে হত্যা করে সেখানে ঝুলিয়ে রেখেছিলো। মাঝে মধ্যে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। আমরা আমার বোনকে বাড়ি নিয়ে যেতাম। তখন আরিফুল রুমাকে হুমকি দিত তুই যদি বাড়ি না আসিস তোর পিতাকে কুপিয়ে হত্যা করব। এই ভয়ে রুমা তার স্বামীর বাড়ি আবার ফিরে যেত। তিনি আরো বলেন, থানার সামনে শিবনাথপুর বারোপোতা গ্রামের প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ী মোমিন মেম্বার ও তার ভাই আমাদের হুমকি দেয়, যাতে আমরা কোন মামলা না করি। তারা বলে বেশী বাড়াবাড়ি করবি না-বাড়ি চলে যা।
ইউপি সদস্য মোমিন বলেন, মেয়েটি কি জন্যে গলায় দড়ি দিয়ে আত্বহত্যা করেছে তার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে খুব মিল ছিল। সুরহাতাল রিপোর্টে সব পাওয়া যাবে। তবে মাঝে মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতো আমি তা মিটিয়ে দিতাম।
পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন খান জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। লাশটি উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে বুঝা যাবে এটা হত্যা না আত্বহত্যা।
(ঊষার আলো-এমএনএস)