আরিফুর রহমান (বাগেরহাট) : পদ্মা সেতু চালু হলে বাগেরহাটের মোংলা বন্দর সব থেকে বেশী লাভবান হবে। দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীরা বেশী মুনাফা অর্জনে মোংলা বন্দরই ব্যবহার করবে। ইতোমধ্যে শিল্প কারখানা গড়ে উঠছে। কর্মসংস্থান বাড়ছে। এ বছরই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মোংলা বন্দর রাজস্ব আয়ে জাতীয় অর্থনীতিতে ভুমিকা রাখবে। এক সময়ের মৃত প্রায় মোংলা বন্দর বর্তমান সরকার সময়ে প্রান ফিরে পেয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা আগামী ২৫ জুন দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করবেন। এদিন মোংলা বন্দরে উৎসব মুখর পরিবেশ করা হবে। এমন কথাই বললেন মোংলা বন্দরের বর্তমান চেয়ারম্যান রিয়াল এডমিরাল মোহাম্মাদ মুসা। রবিবার দুপুরে একান্ত সাক্ষাতকারে মোংলা বন্দর চেয়ারম্যান এ প্রতিবেদক কে বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার সাথে সাথে মোংলা বন্দরে চাপ বাড়বে। কারন মোংলা বন্দর থেকে ঢাকার দুরত্ব ১৭০ কিঃ মিঃ। যা চট্রগ্রাম বন্দর থেকে ৯০ কিঃমিঃ কম। আমদানী-রপ্তানী সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম বহুগুন বেড়ে যাবে। তাই মোংলা বন্দর ব্যবহারকারীদের চাপ মাথায় রেখে আমরা মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে নানা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। কার্গো-কন্টেইনার হ্যান্ডলিং সহজ ও জট মুক্ত করতে আরো ৭৫ টি বিভিন্ন ধরনের কার্গো-কন্টেইনার হ্যান্ডলিং যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করা হয়েছে। যা এখন মোট ১৩৯ টি হয়েছে। মোংলা বন্দর এখন গিয়ারলেস কন্টেইনার জাহাজ হ্যান্ডলিং এ সম্পৃর্ন প্রস্তুত। প্রায় ৫ হাজার বর্গ- মিটারের একটি নতুন ষ্টাফিং ও আন ষ্টাফিং সেড প্রস্তুুত করা হযেছে। মোট জেটি এলাকায় প্রায় ৩ লাখ বর্গ মিটার ধরে কার্গো-কন্টেইনার ও গাড়ী হ্যান্ডলিংয়ের জন্য প্রস্তুুত রাখা হয়েছে।
বন্দরের মোট ৮ টি ইয়ার্ড রয়েছে। যার মধ্যে কন্টেইনার হ্যান্ডলিং এর জন্য ৬টি ও কার হ্যান্ডলিং এর জন্য ২টি প্রস্তুুত রাখা হয়েছে। ৬টি ইয়ার্ডে ৬ হাজার কন্টেইনার ও ২টি কার ইয়ার্ডে সাড়ে ৪ হাজার গাড়ী রাখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ছাড়া ফ্রোজেন কার্গো রাখার জন্য ১৬২ টি রেফার ফ্লাট পয়েন্টসহ নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ ব্যবস্থা রয়েছে এ মোংলা বন্দরে। তবে মোংলা বন্দরের সাথে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে সড়ক বিভাগের আন্তরিক হতে হবে।
(ঊষার আলো-এফএসপি)