মোঃ মেহেদী হাসান, মণিরামপুর : যশোরের মণিরামপুরে জ্বর ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হয়ে জাকির হোসেন (৩২) নামে এক মাদরাসা শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (২২জুন) সন্ধ্যায় খুলনা গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তার মৃত্যুা হয়। তার আগে একটু চিকিৎসার আশায় স্বজনরা তাকে নিয়ে চার হাসপাতালে ছুটাছুটি করেছেন। জাকির হোসেন উপজেলার কাশিপুর দক্ষিণ পাড়ার মৃত সবদাল সরদারের ছেলে। তিনি ঢাকুরিয়ার লাউকুন্ডা দাখিল মাদরাসার এবতেদায়ী শাখার প্রধান ছিলেন। শিক্ষকের বন্ধু আবুল কালাম বলেন, শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ছিলেন জাকির। করোনায় মাদরাসা বন্ধ হয়ে গেলে বাড়িতে থাকতেন তিনি। কয়েকদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত হন জাকির। গত দুইদিন ধরে শ্বাসকষ্ট শুরু হলে সোমবার (২১জুন) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে তাকে মণিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থা জটিল হওয়ায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শিক্ষককে যশোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ভর্তি না নিয়ে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকরা। খুলনা নেওয়ার পর করোনা আক্রান্ত হওয়ার কথা বলে রোগীকে ভর্তি নেননি চিকিৎসকরা। তারপর খুলনা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় রোগীকে। কালাম বলেন, খুলনা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা জানান তারা করোনা রোগী ভর্তি করান। তবে রোগীর করোনা নিশ্চিত হওয়ার পর তারা ভর্তি নেবেন। ওই অজুহাতে তারাও ভর্তি না নিয়ে রোগী ফেরত দেন। এভাবে বিকেল চারটা বেজে যায়। অবশেষে মণিরামপুর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. অনুপ বসুর পরামর্শে খুলনার গাজী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় জাকিরকে। রোগীর অবস্থা জটিল বলে সেখানে আইসিইউতে ভর্তি নেন চিকিৎসকরা। আইসিইউতে সন্ধ্যা সাতটার দিকে মৃত্যু হয়েছে শিক্ষক জাকির হোসেনের। আবুল কালাম বলেন, একটু ভাল চিকিৎসার আশায় দিনভর এই হাসপাতাল থেকে ওই হাসপাতালে ছুটেছি রোগী নিয়ে। সবাই চিকিৎসা না দিয়ে শুধু অজুহাত দিয়েছেন।
মণিরামপুর হাসপাতালের আরএমও ডাক্তার অনুপ বসু বলেন, ওই শিক্ষকের শ্বাসকষ্ট ছিল খুব। কয়েকদিন জ্বরে ভুগলেও স্বজনরা তার করোনা পরীক্ষা করাননি।