পাইকগাছায় নার্সারী ব্যবসা করে সফল হয়েছেন নার্সারী ব্যবসায়ী দিপঙ্কর অধিকারী। তিনি উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের হিতামপুর গ্রামের সুকুমার অধিকারীর ছেলে। ঔষধ ব্যবসা ছেড়ে নার্সারী পেশাকে বেছে নিয়েছেন দিপঙ্কর। দশ বছর আগে পিতা সুকুমার অধিকারীর মাধ্যমেই নার্সারী ব্যবসা শুরু করেন।
প্রথমে তিনি ছোট্ট পরিসরে নার্সারীতে জোড়া কলম তৈরি শুরু করলেও বর্তমানে তার পৈত্রিক ৬ বিঘা জমিতে নার্সারী ব্যবসা গড়ে তুলেছেন। তিনি দেশ বিদেশ থেকে বীজ ও চারা সংগ্রহ করে নিজে মাতৃ বাগান তৈরি করে। সঠিক জাত নির্বাচনের পর সেখান থেকে কলম তৈরি করে দেশের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন চারা কলম সরবরাহ করে থাকেন। তার নার্সারীতে ১০ জন মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। দিপঙ্করের নার্সারী ব্যবসার সফলতা দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক আগ্রহী হয়ে উঠছেন নার্সারী ব্যবসায়।
সৌমিতা নার্সারীতে ভিয়েতনাম ও ক্যারালার নারিকেল ও সুপারি চারা রয়েছে। তার নার্সারিতে দেশি-বিদেশি জাতের পেয়ারা, বেদানা, কমলা, আমড়া, শরিফা, মাল্টা, কমলা, জাম্বুরা, সফেদা, বড়ই, কামরাঙ্গা, মিষ্টি তেতুল, চালতা, লিচু, কদবেল, লটকন, আমের জাতের মধ্যে হাঁড়িভাঙা, ল্যাঙড়া, আম্রপালি, হিম সাগর, গুটি, ফজলি, গৌরমতি, কাঠিমণ, বারি-৪, বেনানা ম্যাঙ্গো, চিয়াংমাই, ব্রুনাই কিং, মিয়াজাকি, ডগমাই, সহ প্রায় সকল জাতের আমের চারা রয়েছে। আঠাহীন কাঁঠাল, থাই লঙ্গন, রুবি লঙ্গন, এবোকাডো,কাজু বাদাম, রক্ত চন্দন, শ্বেত চন্দন, হরিমন আপেল, পেপে, হাইব্রিড সজিনাসহ বিভিন্ন প্রজাতির দেশি-বিদেশি ঔষধ ফলজ ও বনজ গাছের চারা কলম পাওয়া যায় তার নার্সারীতে।