কপিলমুনি (খুলনা) প্রতিনিধি : আদালতের রায়, ডিগ্রি,নিষেধাজ্ঞা ও প্রায় ৮০ বছরের দখলে থাকা খুলনার পাইকগাছায় সাংবাদিক মিজান ও তার শরীকদের সম্পত্তি জবর দখলের অপচেষ্টা করছে ভুমিদস্যুরা। ইতোমধ্যে তাদের চিংড়ী ঘেরের মাছ ও বাসার আসবাবপত্র লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া সাংবাদিক মিজান ও তার পরিবারের লোকদের জানমালের প্রকাশ্য হুমকি দিচ্ছে পৌরসভার গোপালপুরের নাসির, মজিদ গোলদার ও তার লোকজন। দৈনিক যুগান্তরের পাইকগাছা উপজেলা প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সোসাইটির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা বিভাগ) জিএম মিজানুর রহমান। উপজেলার চেঁচুয়া গ্রামের মরহুম বিশে গাজীর ছেলে তিনি।
তাদের শিববাটী মোজায় ৪.৭ একর পৈত্রিক সম্পত্তি অবস্থিত। ১৯৪৪ সাল থেকে আজ পর্যন্ত যা তাদের দখলে। বিআরএস রেকর্ডসহ হাল খাজনা পরিশোধ সেই থেকে। এই জমি নিয়ে প্রথমদিকে বিরোধ দেখা দিলে ১৯৪৭ সালে আদালতে বাঁটোয়ারা ও স্বত্তপ্রচার মামলা হলে প্রতিপক্ষ কোনাই গোলদারদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক ও চুড়ান্ত ডিগ্রি হয়।
এর পর আদালতে রেকর্ড সংশোধনীয় মামলা হয়,রায় অনুপাতে ৫৪ ধারায় এস এ রেকর্ড সংশোধন করে বিশে গাজীর নামে নামপত্তন হয়। এর পরও আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা মামলা করে রায় ডিগ্রি প্রাপ্ত হন বিশে গাজী। অবশেষে কোনাই গোলদাররা সবকটি মামলার হেরে যাওয়ায় তাদের আর কোন উপায় না থাকায় তার বোন ছবি বিবিকে দিয়ে ডিগ্রি রদের মামলা করায়। সে মামলায়ও হেরে যায় ছবি বিবি। পরে আবার আপিল মামলা করলে আদালত থেকে তা ডিসমিস হয়।
সম্প্রতি কিছু দালাল চক্র মামলায় হেরে যাওয়া কোনাই গোলদারের ওয়ারেশ ও ছবির ওয়ারেশদের নিয়ে এসএ রেকর্ড নিয়ে জমি দখলের অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। অথচ ৫৪ ধারায় আদালতের রায়ের মাধ্যমে রেকর্ড সংশোধন করে তা নামপত্তন করা হয়েছে।
পৌরসভার অভ্যন্তরের জমি ও দাম অনেক বেশি হওয়ায় পেশিশক্তি ব্যবহার করে ভাড়াটিয়া লোকজন নিয়ে জবর দখলের অপচেষ্টা করছে।
এদিকে সাংবাদিক মিজানুর রহমান গংদের ঘেরের মাছ ও বাসার আসবাবপত্র লুটপাট করেছে। বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনা স্থলে গেলে তারা পালিয়ে যায়।
এদিকে সাংবাদিক মিজান, তার ভাই এ্যাড, জিএম আমজাদ হোসেন, ভ্রাতুষ্পুত্র খায়রুল, মিলনকে লাঞ্চিত করে নাসির গোলদার ও তার ভাড়া করা লোকজন। এব্যাপারে প্রতিবাদ করায় তারা প্রকাশ্য সাংবাদিক জিএম মিজানুর রহমান ও তার পরিবারকে জানমালের ক্ষয় ক্ষতির হুমকি দিচ্ছে। তারা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তিনি সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন পূর্বক জরুরী হস্তক্ষেপ ও আইনগত সহায়তার দাবী করেছেন।