ঊষার আলো রিপোর্ট : পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে ট্রলারে পদ্মা-যমুনা নদী পারাপার হচ্ছে মানুষ। দীর্ঘ সময় পরপর ফেরি চললেও তাতেও রয়েছে গাদাগাদি মানুষের ভিড়। কেউ মানছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি।
আজ ২০ এপ্রিল মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকেই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে সীমিত আকারে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। সকাল সাড়ে ৬টার দিকে চন্দ্রমলিকা নামের একটি ফেরিতে করে ৩ শতাধিক যাত্রী ও ছোট-বড় ৩৫টি যানবাহন নিয়ে পাটুরিয়া ঘাট ছেড়ে যায়।
এরপর সকাল সাড়ে ৭টার দিকে অর্ধশতাধিক যানবাহন ও গাদাগাদি করে যাত্রী নিয়ে হাসনা হেনা নামের একটি ফেরি পাটুরিয়া ঘাটে নোঙর করেন। আর পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া দিয়ে গাদাগাদি করে অনেকে ট্রলারে পার হচ্ছে। যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই নাই।
যে যেভাবে পারছে নদী পার হচ্ছে। অনেকে ঘাট এলাকায় জড়ো হয়ে ভাইরাস সংক্রমণের ঝুকি নিয়ে ফেরি অপেক্ষায় রয়েছে। নানা অজুহাতও দেখাচ্ছে পারাপারের জন্য অপেক্ষারত মানুষ। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ও আরিচা-কাজির হাট নৌরুটে ২০টি ফেরি রয়েছে। জরুরি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় যানবাহন পারাপারের জন্য ৩টি ফেরি চলাচলের কথা রয়েছে।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেন, দিনের বেলায় শুধুমাত্র ২টি ছোট ফেরি দিয়ে লাশবাহী ও জরুরি পরিবহন পার করা হচ্ছে। তবে যানবাহন ও যাত্রী পারাপারের বিষয়ে কথা বলতে রাজি হয়নি ঘাট কর্তৃপক্ষ।
অন্যদিকে ঘাট এলাকায় ৮টার পরে কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে দেখা গেলেও তাদের সামনেই পদ্মায়-যমুনায় চলছে ট্রলার।
(ঊষার আলো- এম. এইচ)