ঊষার আলো ডেক্স : পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে পিটিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করেছে প্রতিপক্ষ ছাত্রলীগের কয়েকজন যুবক। আহত শিক্ষার্থী নূরুল আমিন আশংকাজনক অবস্থায় পাবনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি পাবিপ্রবির অর্থনীতি বিভাগের ১১ তম ব্যাচের (৩য় বর্ষ প্রথম সেমিষ্টার) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।
একই বিভাগের সিনিয়র শিক্ষার্থী ওহিদুল ইসলাম বলেন, আমরা জানার সাথে সাথেই তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি। তার মাথায় আঘাত করা হয়েছে তাই সে মাঝে মাঝেই অচেতন হয়ে পরছে। রাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভাইস চ্যান্সেলর ও বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, কর্মকর্তারা এসে দেখে গেছেন। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি আমরা।
তার সহপাঠীরা বলেন, শনিবার (২১ মে) রাত সাড়ে ১১ টার দিকে ইতিহাস বিভাগের ১১ তম ব্যাচের অনিক পোদ্দার, ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১১ তম ব্যাচ শাহ আলম, জহির রায়হান, ইমনসহ বেশ কয়েকজন তাকে রুম থেকে ডেকে হলের ছাদে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরেই তারা আবার রুমে এসে দিয়ে যান নূরুলকে। বিষয়টি আমরা জানার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে রাত দেড়টার দিকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। নুরুলের জ্ঞান ফিরে এলে এদের কয়েকজনের নাম বলেছেন। তারা এটাও বলেন, হলের ডাইনিংয়ে খাবার নিয়ে নূরুল সম্প্রতি একটি স্ট্যাটাস দেন। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে তারা তাকে মারপিট করেন।
অন্যদিকে, অনিক পোদ্দার মারপিটের বিষয়ে অস্বীকার করলেও রুম থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেন। সেই সাথে হলের খাবার সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে তাকে মারা হয়নি বলেও দাবি করেন। তবে একটি মিটিংয়ের জন্য বন্ধুরা মিলে তাকে রুম থেকে ডেকে ছাদে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের নাক কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা. মনিরুল ইসলাম জানান, শিক্ষার্থী নূরুলের সম্ভবত কানের পর্দা ফেটে গেছে, তবে সুস্থ্য হতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে।
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হাফিজা খাতুন ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে রবিবার (২২ মে) একটি অনুষ্ঠান ছিল, তবুও বিষয়টি জানার সাথে সাথেই আমরা হাসপাতালে গিয়েছি, খোঁজ খবর নিয়ে তার চিকিৎসার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছি। ছেলেটাকে রক্ষা করাই আমাদের মূল বিষয়। তবে এই ঘটনায় তদন্ত কমিটি করা হবে, যারা এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
(ঊষার আলো-এসএইস)