বিসিএসসহ অন্তত ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশনের (বিপিএসসি) বরখাস্ত হওয়া পাঁচ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হওয়ার পাশাপাশি উপ-পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্ব পাঁচ সদস্যের টিম গঠন করা হয়েছে।
অভিযোগে পিএসসির ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও অপরাধমূলক আচরণের মাধ্যমে বিসিএস পরীক্ষাসহ বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে উৎকোচ গ্রহণ করে বিভিন্ন সিন্ডিকেটের কাছে বিক্রিসহ অবৈধভাবে নামে-বেনামে কোটি কোটি টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের কথা বলা হয়েছে।
গত ১০ জুলাই পিএসসি থেকে দুদকের সচিব বরাবর ওই কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে মামলার আসামি উপ-পরিচালক মো. আবু জাফর ও জাহাঙ্গীর আলম, সহকারী পরিচালক মো. আলমগীর কবির এবং পিএসসির কর্মচারী ডেসপাস রাইডার খলিলুর রহমান ও অফিস সহায়ক সাজেদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলা হয়েছিল।
পিএসসির চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ রেলওয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র অবৈধ উপায়ে সংগ্রহ, পরীক্ষার আগে প্রশ্নপত্র প্রকাশ এবং বিতরণ করে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মচারী হিসেবে অপরাধ সংঘটনে জড়িত থাকার অভিযোগে কর্মকমিশনের পাঁচজনসহ অন্যদের আসামি করে পল্টন থানায় মামলা হয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচজন কর্মচারী জেলে আছেন।
তাছাড়া তাদের নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে অসাধু উপায়ে অর্জিত ও তাদের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে বা তারা মালিকানা অর্জন করেছেন মর্মে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে ও হচ্ছে।
এভাবে অসাধু উপায়ে জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মালিকানা অর্জন দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর তফসিলভুক্ত অপরাধ। দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক তদন্তপূর্বক উপযুক্ত আদালতে বিচারার্থ মামলা দায়ের করার লক্ষ্যে সাক্ষ্য-প্রমাণাদি সংগ্রহের ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন। তাই এসব অভিযোগ তদন্ত করে কমিশনকে অবহিত করতে অনুরোধ করেছে সংস্থাটি।
গত ১০ জুলাই বিসিএসের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ গ্রেপ্তার হওয়া পিএসসির পাঁচ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
