UsharAlo logo
সোমবার, ২৫শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১০ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিরোজপুরে হাট-বাজারের জায়গা দখল করে বসত বাড়ি তৈরি

usharalodesk
মে ৩০, ২০২১ ৬:৩১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পিরোজপুর প্রতিনিধি : পিরোজপুরের কাউখালী হাট-বাজার উপজেলার হাট-বাজারের মধ্যে ঐতিহ্যবাহী একটি হাট। হাটের দিন বহু দূর থেকে হাজার হাজার মানুষ ব্যবসা-বাণিজ্য করতে এই হাটে আসেন। কিন্তু প্রভাবশালী ব্যক্তিদের কালো থাবায় হাট-বাজারের অনেক জায়গা এখন বসত বাড়ি তৈরি করে সাধারণ মানুষ বসবাস করছে। হাটের জায়গাগুলো যাও রয়েছে তাও অবৈধ দখলদাররা দখল করে নিয়েছে। হাটের জায়গাগুলো একশনা লিজ নিয়ে কেউ বসত বাড়ি করছে, কেউ গোডাউন তৈরি করছে, কেউ কারখানা তৈরি করে নিজেদের আয়ত্বের মধ্যে রেখেছে। ফলে দূর-দূরান্ত থেকে আসা পণ্য দ্রব্য নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়েছে অনেকেরই। অনেকে আবার একশনা লিজ নিয়ে বাড়ি ঘর নির্মাণ করে প্রতিমাসে হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যার কারনে হাটের দিন ফুটপাতের দুইপাশ তোহা বাজার হিসেবে ভাসমান ব্যবসায়ীরা দোকানের পসরা সাজিয়ে বেঁচা-কেনা করছে। এতে করে হাট-বাজারে শত শত লোক যাতায়াত-চলাফেরাসহ বিভিন্ন ধরণের অসুবিধার সম্মুখিন হচ্ছে। ১৯৯৮-৯৯ সালে কাউখালী হাট-বাজার পেরিফাই করে নির্দিষ্টভাবে পন্যদ্রব্য বিক্রির স্থান নির্ধারণ করা রয়েছে। অভিযোগ উঠছে এসকল নির্ধারিত স্থানে পণ্যদ্রব্য বিক্রি না করে রাস্তার দু’ধারে হাটা-চলার পথে বিক্রি করার দুর্ভোগে পড়ছে ক্রেতা-বিক্রেতারা। এই হাট-বাজারে ৬শত ৭৫টি এ পর্যন্ত লিজ দেয়া হয়। যার মধ্যে অনেক লিজ গ্রহীতাই বাসা-বাড়ি করে বসবাস করে এবং ভাড়া প্রদান করে। এতে করে প্রতিবছর হাট-বাজারের পরিধি কমে যায়, ফলে সরকার লক্ষ লক্ষ টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে। প্রতিবছর সরকার এই হাট থেকে প্রায় কোটি টাকা রাজস্ব আয় হলেও দীর্ঘ এক যুগেও এর পরিধি বাড়েনি। হাট-বাজাররের ইজারাদার হারুন অর রশিদ খান অভিযোগ করে তোহা বাজার বসানোর কোন ব্যবস্থা না থাকায় দূরের পণ্য বিক্রেতারা হাট-বাজার আসেন না। ফলে আগের তুলনায় হাট-বাজার অনেক কম বসে। যার কারনে সরকারের রাজস্ব বাড়ছে না। তোহা বাজার দখলমুক্ত করতে পারলে হাট-বাজারের পরিধি বাড়বে এবং সরকারের অনেক রাজস্ব বাড়বে ও হাট বাজারের সৌন্দর্য্য পাবে। ক্রেতা-বিক্রেতাদের সমাগত বাড়বে। এব্যাপারে কাউখালী সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাত আরা তিথি জানান, অবৈধ দখল এবং বসতবাড়ি চিহ্নিত করে লিজ ব্যবসা বানিজ্যের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

 

(ঊষার আলো-আরএম)