UsharAlo logo
মঙ্গলবার, ১৯শে নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বন্ধুর বিভাগীয় মিডিয়া ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন দেশের ১৬ সাংবাদিক

koushikkln
এপ্রিল ৫, ২০২১ ৯:৫৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির (বন্ধু) বিভাগীয় মিডিয়া ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড-২০২০ পেয়েছেন ১৬ সাংবাদিক। সোমবার সকালে অনলাইন কনফারেন্সের মাধ্যমে মিডিয়া ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন, স্বাস্থ্যসেবা এবং স্বীকৃতির বিষয়ে গঠনমূলক সংবাদ পরিবেশনার জন্য ঢাকা ছাড়া দেশের সাতটি বিভাগ থেকে মোট ১৬ জনকে বিভাগীয় মিডিয়া ফেলোশিপ-২০২০ দেওয়া হয়। ইউএসএআইডি’র আর্থিক সহায়তায়-২০১৭ সাল থেকে বিভাগীয় পর্যায়ে মিডিয়া ফেলোশিপ দেওয়া হয়েছে।
সারা দেশে মিডিয়া ফেলোশিপ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তরা হলেন, লাবনী ইয়াসমিন (ডেইলি অবজারভার), জিতু কবীর (বায়ান্নর আলো ও জাগোনিউজ), ফরহাদুজ্জামান ফারুক (দাবানল ও ঢাকা পোস্ট), নাজমুল ইসলাম নিশাত (ডিবিসি নিউজ), বিডিনিউজটোয়েন্টিফোরডটকম’র স্টাফ রিপোর্টার মিঠুন চৌধুরী, দেশ রুপান্তরের স্টাফ রিপোর্টার নয়ন চক্রবর্তী, গণশক্তি পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আহসান হাবিবুল আলম, স্বরূপ ভট্টাচার্য, নাইমুল ইসলাম চৌধুরী, সুবর্ণা হামিদ, সাত্তার আজাদ, নাসির উদ্দিন, সুলতান মাহমুদ কনিক, আবু সালেহ মো. মুসা, সাইফুল ইসলাম ও মো. রেমন আলী।
লকডাউন ও করোনার পরিবর্তিত পরিস্থিতির কারণে ৫ এপ্রিল সকালে অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানের ভার্চ্যুয়াল আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক নেতা মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল। বেসরকারি সেবা সংস্থা বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর ব্যাপারে মিডিয়ার অনেকেই যথেষ্ট ধারণা রাখেন না। এই ফেলোশিপ প্রকল্পের মাধ্যমে একটি প্রশিতি দল তৈরি হচ্ছে, যারা ভবিষ্যতে এই জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে। কনফারেন্সে মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, সমাজে তৃতীয় লিঙ্গ নামে হিজড়া সম্প্রদায়কে চিহ্নিত করে।সমাজ থেকেই বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয় তাদের। কিন্তু এই হিজড়া জনগোষ্ঠিকে আলাদা রেখে কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। সমাজে আর দশটা মানুষের মতই তাদের মূল্যায়ন করতে হবে। পিছিয়ে পড়া এ জনগোষ্ঠীর জীবনমান নিয়ে ফেলো বন্ধুরা সেই বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে তুলে এনেছেন। অনেক প্রতিবেদন হয়েছে যা অন্যদের বদলে যাবার সাহস ও অনুপ্রেরণা যোগাবে। সাংবাদিকদের পিছিয়ে যে কোনো গোষ্ঠীর জন্য কাজ করতে হবে। কারণে সমাজ পরিবর্তনে গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন- ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ইফতেখারুল ইসলাম, হিউম্যান রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেটর ইন বাংলাদেশ মানবাধিকার উপদেষ্টা হুনা খান ইউএসএআইডি’র প্রতিনিধি স্লাভিকা রেডোসেভিক। সমাপণী বক্তব্য রাখেন বন্ধুর পরিচালক (পলিসি অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস) উম্মে ফারহানা জারিফ কান্তা। এর আগে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বন্ধু সোশ্যাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সালেহ আহমেদ। বন্ধুর কার্যক্রম ও মিডিয়া ফেলোশিপ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন বন্ধুর ম্যানেজার (পলিসি অ্যাডভোকেসি) মশিউর রহমান। ট্রান্সজেন্ডার ও হিজড়া জনগোষ্ঠীর আত্ম-স্বীকৃতি ও সচেতনতা বাড়াতে গণমাধ্যমকে যুক্ত করার ল্েয ২০১১ সাল কেন্দ্রীয়ভাবে মিডিয়া ফেলোশিপ দিচ্ছে ‘বন্ধু’।