UsharAlo logo
রবিবার, ৬ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বর্ষা হলেই বাইনতলা স্লুইচ গেটের উপর দিয়ে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ

ঊষার আলো ডেস্ক
জুলাই ৮, ২০২৪ ৭:০৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

পাইকগাছার আলমতলা-গড়ইখালী প্রধান সড়কের বাইনতলা স্লুইচ  গেটের রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। স্লুইচ  গেট নির্মাণ কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় এবং যাতায়াতের প্রধান সড়ক জরাজীর্ণ হয়ে যাওয়ায় বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতে মানুষের দুর্ভোগ বেড়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ ১শ ফুট রাস্তা দ্রুত সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।

উল্লেখ্য, পাইকগাছা-কয়রা প্রধান সড়কের আলমতলানামক স্থান থেকে সংযুক্ত হয়ে বাইনতলা হয়ে গড়ইখালী-কয়রা সহ বিভিন্ন এলাকায় যুক্ত হয়েছে আলমতলা-গড়ইখালী সড়ক। সড়কটি দিয়ে গড়ইখালী, লস্কর, সোলাদানা ও আশে পাশের বিভিন্ন এলাকার হাজারো মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকে। সড়ক দিয়ে পিকআপ, মাইক্রো, ইজিবাইক, ভ্যান, নছিমন, করিমন সহ ছোট ও মাঝারী ধরণের বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করে থাকে। শুকনো মৌসুমে যাতায়াতে মানুষের তেমন কোন ভোগান্তি হয় না।

তবে বর্ষা মৌসুমে যাতায়াতে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। সড়কের লস্কর ইউনিয়নের বাইনতলা বাজার সংলগ্ন স্থানে সড়কের উপর একটি সরকারি স্লুইচ  গেট রয়েছে। গেটটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যাওয়ায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে চলতি বছরের শুরু থেকে নতুন স্লুইচ গগেট নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। একদিকে নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়ায় সড়কের ১শ ফুট জুড়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অন্যদিকে বর্ষা মৌসুম হওয়ায় বর্ষা আসলেই সড়কের ক্ষতিগ্রস্থ এলাকাটুকু কাদা-মাটির কারণে মটর সাইকেল সহ অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন পথচারী সহ যানবাহন চালকরা।

শিক্ষিকা অনামিকা জানান, প্রতিদিন রাস্তা দিয়ে স্কুলে যেতে হয়। সমস্ত রাস্তা ভাল, শুধু বাইনতলা স্লুইচ  গেটের রাস্তা টুকু জরাজীর্ণ। বিশেষ করে বর্ষা হলেই এটুকু রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা যায় না। মাসুম বিল্লাহ বলেন, শনিবার দুপুরে গড়ইখালী থেকে আসার সময় বাইনতলা স্লুইচ  গেট পর্যন্ত আসার পর কাদামাটির কারণে সেখানে আটকে যায়। প্রধান সড়ক টুকু জরাজীর্ণ, আবার বিকল্প যেটি বেড়িবাঁধ করা হয়েছে সেটুকুও পাকা করা হয়নি। ফলে বর্ষা হলেই মটর সাইকেল সহ ছোট ছোট যানবাহন নিয়ে যাতায়াতে চরম দুর্ভোগ হয়। ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তাটুকু দ্রুত সংস্কারের দাবী জানিয়েছেন এলাকাবাসী।