UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ৩রা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশ কখনো শ্রীলঙ্কা হবে না: প্রধানমন্ত্রী

pial
আগস্ট ৩০, ২০২২ ৩:২৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : বাংলাদেশের সকল ধরনের উন্নয়ন পরিকল্পনার পেছনে সুদূরপ্রসারী চিন্তা-ভাবনা থাকে জানিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশ কখনো শ্রীলঙ্কা হবে না।

আজ মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এ কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে লাভ কোনো নেই। অনেকে বাংলাদেশকে শ্রীলঙ্কা বানাতে চাচ্ছে, একটা কথা মনে রাখবেন বাংলাদেশ কখনো শ্রীলঙ্কা হবে না।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের শ্রীলঙ্কার মতো পরিস্থিতি ২০১১ থেকে ২০০৬ সালে তো হয়েই গেছে। পানি, বিদ্যুৎ, সার সংকট ও জঙ্গি উত্থান। আমাদের যাতে অর্থনৈতিক গতিশীলতা থাকে, তার সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছি। প্রত্যেকটা অর্থনেতিক উন্নয়নের আগে চিন্তা করি যে, এতে দেশের কি উন্নয়ন হবে। আমরা এটা চিন্তা করি না যে এই উন্নয়ন পরিকল্পনা নিলে কত পারসেন্ট থাকবে, এ কথা চিন্তা করে শেখ হাসিনা কোনো পরিকল্পনা নেয় না।

‘আমরা কখনো ধার করে ঘি খাই না, কাজে আমরা কারো কাছে আটকা পড়ে যাবো না। যেখান থেকেই ঋণ নিচ্ছি তা আমরা পরিশোধ করে দিচ্ছি।’

এ সময় বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক মন্দা এবং জ্বালানি সংকটের বিষয়টি স্মরণ করিয়ে দিয়ে দেশবাসীকে বিদ্যুৎ-পানি এবং জ্বালানি তেল ব্যবহারে সবাইকে মিতব্যায়ী হওয়ার আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন তেলের দাম ও কয়লার দাম বেড়ে গেছে। এবং আমরা গ্যাস উৎপাদন বৃদ্ধি করতে চেষ্টা করে যাচ্ছি। এজন্য বিদ্যুৎ সাশ্রয় করতে হচ্ছে, ফলে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। কারণ আমরা যাতে বৈশ্বির মন্দার ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত না হই, সেজন্য আগেভাবে সাশ্রয়ী নীতি গ্রহণ করতে হয়েছে।

করোনা ও ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ আর আমেরিকার নিষেধাজ্ঞায় বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক সংকটের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে প্রত্যেকটা উন্নত দেশে বিদ্যুতের অভাব। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সীমিত আকারে বিদ্যুৎ ব্যবহারের, পানির অভাব। জার্মানিতে গরম পানি ব্যবহার করতে পারবে না, এছাড়া খাবারের দাম বেড়ে গেছে বিশ্বব্যাপী। এটা যুদ্ধের ফলাফল, আমরা আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রতিটি জিনিসেরই মূল্যবৃদ্ধি। তেল আমরা বেশি দামে কিনি আর কম দামে বেঁচে ভর্তুকি দেই। প্রতিবেশী দেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে তেলের দাম নির্ধারণ করতে হয়। আর আমরা তেলের দাম ইতিমধ্যে ৫টাকা করে কমিয়ে দিয়েছি।

(ঊষার আলো-এফএসপি)