UsharAlo logo
রবিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাংলাদেশের কোন কৌশলে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে রাজি হলো মিয়ানমার

ঊষার আলো রিপোর্ট
এপ্রিল ৫, ২০২৫ ১২:০৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে দেশে ফেরতের উপযুক্ত হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে মিয়ানমার। বাংলাদেশের কূটনীতিতে যা অন্যতম বড় সাফল্য। দীর্ঘ ৮ বছর বাংলাদেশের গলার কাঁটা হিসেবে আটকে থাকা এই রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে কীভাবে মিয়ানমারকে রাজি করাল বাংলাদেশ। কোন কৌশলের কারণে রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার; এবার জানা গেল সেই কৌশল।

প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার তার এক ফেসবুক পোস্টে ব্যাখ্যা করেছেন রোহিঙ্গা ইস্যুতে সরকারের শক্তিশালী অবস্থানের কথা। যেখানে রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে প্রধান উপদেষ্টার হাই-রিপ্রেজেনটেটিভ ড. খলিলুর রহমানের ভূমিকাও তুলে ধরেছেন তিনি।

আজাদ মজুমদার তার ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘রয়টার্স, ইএফই এবং ওয়াশিংটন পোস্টের মতো একাধিক সংবাদমাধ্যমে আমি (ড. খলিলুর রহমান) প্রায় দুই দশক ধরে রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে আলোচনা করেছি, ক্যাম্পের প্রতিটি কোণে গিয়েছি এবং তাদের দুর্দশা সম্পর্কে অনেক গল্প লিখেছি, বিশেষ করে ২০১৭ সালের গণহত্যার পর।’

তিনি আরও লেখেন, ‘আমি কখনো ভাবিনি যে আমি সংকটের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত প্রত্যক্ষ করার এত কাছাকাছি পৌঁছে যাব, যা অবশেষে তাদের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত প্রত্যাবাসনের দরজা খুলে দেবে।’

এরপর রোহিঙ্গা ইস্যুতে ব্যাংককে বাংলাদেশ সরকারের শক্তিশালী অবস্থান তুলে ধরে তিনি জানান, ‘গতকাল, ব্যাংককে, বাংলাদেশ প্রথমে মিয়ানমারের কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করতে অস্বীকৃতি জানায়, কারণ তাদের নেতা বিআইএমএসইসি ভাষণে রোহিঙ্গাদের ‘অবৈধ বাঙালি’ বলে অভিহিত করেছিলেন। পরে মিয়ানমার ১ লাখ ৮০ হাজার জন রোহিঙ্গা ফিরে যাওয়ার জন্য উপযুক্ত বলে রাজি হওয়ার পরেই এই বৈঠকটি হয়।’

রোহিঙ্গা সমস্যা নিরসরে কাজ করা ড. খলিলুর রহমানের প্রশংসা করে আজাদ মজুমদার লিখেন, ‘উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান কীভাবে পুরো বিষয়টি পরিচালনা করেছেন তা দেখে আমি অবাক হয়েছি। অভিবাদন।’

ঊষার আলো-এসএ