বাগেরহাট প্রাতিনিধি : বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলার রাঢ়িপাড়া এলাকায় সাবেক ইউপি মেম্বর ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ দেলোয়ার হোসেনের বাড়ীতে গভীর রাতে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। দাবীকৃত চাঁদা না পেয়ে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান বাবুর নেতৃত্বে সোমবার গভীররাতে এ হমালা হয়। হামলায় আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ারের স্ত্রী রমিছা বেগম (৫৮), পুত্রবধু কাকলি বেগম (২৫) ও ভাগ্নে সাইফুল খান (৩৫) আহত হয়। হামলাকারিরা আওয়ামী লীগ নেতার বসতঘর ভাংচুর ও লুটপাটসহ তার ছেলে শামীম সেখের বসত আগুন ধরিয়ে দেয়। আহতদের ওই রাতেই বাগেরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আহতরা জানান, সদ্যপ্রয়াত কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এসএম মাহাফুজুর রহমানের ছেলে এলাকার ত্রাস মেহেদী হাসান বাবু পুর্ব শত্রæতার জের ধরে সোমবার সন্ধ্যায় দেলোয়ার সেখের বাড়ীতে প্রবেশ করে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে এবং হুমকী-ধামকী দিয়ে চলে যায়। এরপর রাত আড়াইটার দিকে সোহাগ, জাহিদ বেপারি ও মনি সেখসহ ৪০/ ৫০ জনের একদল সন্ত্রাসী নিয়ে বাবু এ হামলা চালায়। হামলাকারিরা নারীদের উপর অত্যাচার করে। আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার সেখের ছেলে শামীম সেখ এ প্রতিবেদক কে বলেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহাফুজুর রহমান মারা যাওয়ার পর তার ছেলে মেহেদী হাসান বাবু বে-পরোয়া হয়ে উঠেছে। পুর্ব-শত্রæতার জের ধরে আমাদের পরিবারের কাছে ৫ লাখ টাকা দাবী করে। দাবীকৃত টাকা না পেয়ে গভীর রাতে এসে আমাদের বসত বাড়ীতে অতর্কিত হামলা চালায় ও লুটপাট করে। এবং আমার বসতঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। এ ঘটনা থানা পুলিশ কে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলেও কাউকে আটক করে নাই। এ বিষয়ে বক্তব্য নেয়ার জন্য যুবলীগ নেতা মেহেদী হাসান বাবুর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার বিষয়ে কচুয়া থানার ওসি মোঃ মনিরুল ইসলাম জানান, আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। মঙ্গলবার দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি এবং কাউকে আটক করা হয়নি।
(ঊষার আলো-আরএম)