বাগেরহাট প্রতিনিধি : বাগেরহাটে আওয়ামী লীগ দলীয় ইউপি সদস্য তরফদার মনিরুল ইসলাম (৪৫) কে স্ত্রী ও ছোট মেয়ের সামনে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ী কুপিয়ে জখম করেছে চিহ্নিত দুর্বৃত্তরা।
এ সময় তার সাথে থাকা স্ত্রী ও ছোট মেয়ে আহত হন। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নেয়া হয় পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে তার অবস্থা আশংকাজনক।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাত ৮ টার দিকে বাগেরহাট শহরের মুণিগঞ্জ সেতুর বাইপাস সড়কে এই হামলার ঘটনা ঘটে। এসময় বিদ্যুৎ ছিলনা। তরফদার মনিরুল ইসলাম বাগেরহাট সদর উপডজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য।
বাগেরহাট সদর উপডজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ শমসের আলী সকালে সাংবাদিকদের বলেন, গোটাপাড়া ইউনিয়নের ভাতশালা গ্রামের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মনিরুল ইসলাম বাগেরহাট শহরের সরুই এলাকায় পরিবার নিয়ে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। শুক্রবার বিকেলে তিনি শহর থেকে তার গ্রামের বাড়ীর মসজিদে ইফতার দিতে যান। সেখানে গ্রামের মানুষের সাথে ইফতারির পর নামাজ পড়ে তিনি স্ত্রী ও ছোট মেয়েকে নিয়ে মটরসাইকেলযোগে শহরের বাসায় ফেরার পথে মুণিগঞ্জ সেতুর পাইপাস সড়কে পৌছালে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা একদল সন্ত্রাসী ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে তাকে গুরুতর জখম করে। এসময় ঠেকাতে গেলে তার স্ত্রীকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। তাদের ধাক্কায় কোলের শিশুটিও পড়ে গিয়ে আহত হয়। তারা চলে যাওয়ার পর স্থানীয় লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য মনিরুলকে খুলনা মেডিকেলে পাঠায়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। গত ইউপি নির্বাচনের জের ধরে প্রতিপক্ষরা এই হামলা করে থাকতে পারে বলে মনে করছেন চেয়ারম্যান। এই হামলার সাথে যারা জড়িত তাদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
বাগেরহাট সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক ডা. সুদীপ্ত কুমার দেবনাথ বলেন, হাসপাতালে নিয়ে আসা মনিরুল ইসলামের দুই হাত, পা এবং পিঠে ধারালো অস্ত্রের একাধিক কোপের চিহ্ন ছিল। তার শরীর থেকে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। অবস্থা সংকটাপন্ন হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়। বাগেরহাট সদর মডেল থানার ওসি কে এম আজিজুল ইসলাম বলেন, বাগেরহাট সদরের গোটাপাড়া ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মনিরুল ইসলামের উপর হামলার ঘটনা শুনে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। গত ইউপি নির্বাচন, স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। আমরা এইসব বিষয় মাথায় রেখে জড়িতদের খুঁজে বের করতে ঘটনাটি তদন্ত করছি। তবে শনিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এ ঘটনায় কোন সন্ত্রাসীকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে নি।
(ঊষার আলো-এফএসপি)