ঊষার আলো রিপোর্ট : যশোরের শার্শায় সমাবেশকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে বোমাবাজি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের গোড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ বলছে, সমাবেশকে ঘিরে পূর্ব থেকে উত্তেজনা ছিল। তবে বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা যায়, যশোরের শার্শা উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতারা মঙ্গলবার বিকাল ৩টায় নিজামপুর ইউনিয়নের গোড়পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সমাবেশের আয়োজন করে। প্রতিপক্ষ গ্রুপও একই মাঠে সমাবেশের ঘোষণা দেয়। সোমবার থেকেই এ নিয়ে গোড়পাড়া এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এ কারণে সকাল থেকে সমাবেশ স্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়; কিন্তু দুপুর ১টার দিকে উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান জহির গ্রুপের লোকজন মফিকুল ইসলাম তৃপ্তি গ্রুপের সমাবেশ মঞ্চে হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ সময় তারা সমাবেশ মঞ্চ ও চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে। একইসঙ্গে অন্তত ১২টি ককটেল বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে অতিরিক্ত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। মফিকুল ইসলাম তৃপ্তি গ্রুপের নেতাকর্মীদের দাবি এ হামলায় তাদের ৭ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।
অপরদিকে শার্শা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাসান জহির দাবি করেছেন তার অনুসারী দুজন যুবদল কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে বিষয়ে জানতে চাইলে শার্শা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাসান জহির বলেন, মফিকুল হাসান তৃপ্তির লোকজন প্রথমে আমার নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বোমা হামলা করেছে। নেতাকর্মীরা তাদের ধাওয়া দিয়ে প্রতিরোধ করে। পরবর্তীতে তৃপ্তির অনুসারীরা আমার দুই কর্মী আবু বকর (৪৫) ও নাসির উদ্দিনকে (৪০) কুপিয়েছে। তাদের দুইজনকে রাতে ঢাকায় রেফার্ড করা হয়েছে।
তিনি দাবি করেন, তার নেতাকর্মীরা হামলা করেনি। মফিকুল হাসান তৃপ্তির নেতাকর্মীরা হামলা চালিয়েছে।
তবে বিএনপি নেতা মফিকুল হাসান তৃপ্তির ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে কল দিলেও রিসিভ করেননি। এজন্য তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নিশাত আল নাহিয়ান জানান, সমাবেশকে কেন্দ্র করে পূর্ব থেকে উত্তেজনা ছিল। তবে পরিস্থিতি বর্তমানে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ঊষার আলো-এসএ