ঊষার আলো রিপোর্ট : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বুধবার ফেনীর সোনাগাজীর এক নরওয়ে প্রবাসীর ওপর হামলা হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, বিমানবন্দরের নিরাপত্তারক্ষীরা এ হামলা করেন।
এ নিয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আনসারের পক্ষ থেকে একে অপপ্রচার বলে দাবি করা হয়েছে।
জানা যায়, সোনাগাজীর মতিগঞ্জ ইউনিয়নের সুলাখালী গ্রামের চঁান মিয়া সওদাগর বাড়ির গিয়াস উদ্দিন সমির সপরিবারে ২৫ বছর ধরে নরওয়ের অসলোতে বসবাস করে আসছেন। সেখানে তিনি সন্তানদের নিয়ে গাড়ির ব্যবসা করেন। ৭ জানুয়ারি পরিবারের পঁাচ সদস্যকে নিয়ে তিনি দেশে আসেন। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন শেষে সমির চার সদস্য নিয়ে বারান্দায় আসেন। ভেতরে থাকা ছোট ছেলে সাঈদ উদ্দিন বাপ্পীকে ডাকার সময় কোহিনুর নামে এক নিরাপত্তারক্ষী সমিরকে ধাক্কা দেন। এ নিয়ে সাঈদ ও নিরাপত্তাকর্মীর মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে কয়েকজন নিরাপত্তাকর্মী জড়ো হয়ে সাঈদকে মারধর করেন। পরে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সমঝোতা বৈঠক হয়।
গিয়াস উদ্দিন সমির জানান, ম্যাজিস্ট্রেটসহ একাধিক কর্মকর্তা তাদের নতুন ঝামেলায় পড়ার ভয় দেখিয়ে দোষ স্বীকার করতে বলেন। একপর্যায়ে দোষ স্বীকার করিয়ে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন। গিয়াস উদ্দিন সমির বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার প্রবাসীদের সেবার মান বৃদ্ধি করে ভিআইপি ঘোষণা করেছে। কিন্তু আমরা বিমানবন্দরে এসে হেনস্তা ও হামলা শিকার হলাম।
এদিকে বৃহস্পতিবার সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিমানবন্দরে কর্তব্যরত বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা পরিষ্কার করেন সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) আশিকুজ্জামান। তিনি জানান, নরওয়ে প্রবাসী এক যাত্রী বহির্গমন টার্মিনালের গেট ২ দিয়ে বের হওয়ার সময় তাকে রিসিভ করতে আসা স্বজনরা টার্মিনালের ক্যানোপির ভেতরে অনুমতি ছাড়া প্রবেশ করেন। আইনশৃঙ্খলা রাক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাদের বাধা দিলে যাত্রীর একজন স্বজন উত্তেজিত হয়ে বাদানুবাদে লপ্তি হন এবং পরবর্তী সময়ে হাতাহাতি করেন। সিসিটিভি ফুটেজে স্পষ্ট দেখা যায়, আনসার সদস্যরা এ ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত ছিল না, বরং তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চষ্টো করেছে।
ঊষার আলো-এসএ