ঊষার আলো ডেস্ক : ২৫ মার্চ (শুক্রবার) সকাল ১০ টায় শ্যামনগর উপজেলা প্রশাসন চত্ত্বরে বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা লিডার্স এর সহযোগিতায় শ্যামনগর উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম ও শ্যামনগর উপজেলা যুব ফোরামের আয়োজনে বিশ্ব জলবায়ু অবরোধ কর্মসূচী ২০২২ উদযাপন করা হয়েছে।
বিশ্ব জলবায়ু অবরোধ কর্মসূচী উদযাপন অনুষ্ঠানে দাবীর পক্ষে একাত্বতা ঘোষণা করে সভাপতিত্ব করেন শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আক্তার হোসেন, প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শ্যামনগর উপজেলা চেয়ারম্যান এস. এম আতাউল হক দোলন, বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাইদুজ্জামান সাঈদ, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা আয়ূব ডলি, জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরামের সাধারণ সম্পাদক, সাংবাদিক ও শিক্ষক রনজিৎ বর্মন, উপজেলা যুব ফোরামের সভাপতি মোমিনুর রহমান, শরুব ইয়থটিমের নির্বাহী পরিচালক জান্নাতুল নাঈম, ইয়থ নেটের সাতক্ষীরা জেলা সমস্বয়ক মোঃ শাহীন বিল্লাহ সহ যুব ফোরামের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ প্রমূখ।
জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব উপকূলীয় অঞ্চল তথা সারাবিশ্বের উন্নয়নের সকল পদক্ষেপকে প্রভাবিত করছে।
উন্নত দেশগুলি গ্রীনহাউজ গ্যাস নির্গমন করে জলবায়ু পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করছে। বাংলাদেশ কোন ভূমিকা না রেখেও বেশী ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। বিশেষ করে উপকূলীয় অঞ্চল আরো বেশী ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এই জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলা করা ও ক্লাইমেট জাস্টিস প্রতিষ্ঠার জন্য সুইডেনের স্কুল ছাত্রী প্রতিবাদী অগ্নিকন্যা গ্রেটা থুনবার্গ এর ফ্রাইডেজ ফর ফিউচার, সারাবিশ্বের সাধারন জনগণ, যুব ও স্কুল ছাত্ররা জনসমাবে, র্যালী, মানববন্ধন ও পথসভা করছে।
এরই ধারাবাহিকতায় লিডার্স, শ্যামনগর উপজেলা জলবায়ু অধিপরামর্শ ফোরাম ও উপজেলা যুব ফোরাম সারাবিশ্বের সাথে একাত্মতা ঘোষনা করে বিশেষত বাংলাদেশের উপকূলীয় সমস্যা ও দাবিগুলি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে তুলে ধরতে “বিশ্ব জলবায়ু অবরোধ কর্মসূচী-২০২২ উদযাপন”করেছে।
মানববন্ধন ও সমাবেশে বক্তারা বলেন, আমরা উপকূলে বাস করি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারনে আমরা নানা ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। আজ যদি আমরা আমাদের ক্ষয়ক্ষতি বিশ্বের কাছে তুলে ধরতে না পারি তাহলে ভবিষ্যতে আমরা ভয়াবহ বিপদের মধ্যে পড়ব। এজন্য সকলকে এই আন্দোলনের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করার আহবান জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে বাংলাদেশের ভূমিকা অনেক কম। কিন্তু ক্ষতির দিক থেকে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি। বিশ্ব কপ সম্মেলনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্থ এলাকার দাবীগুলো উপস্থাপন করেছেন। আমরাও বাংলাদেশের জন্য বিশ্বের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবী করছি।