রাহাদ সুমন,বানারীপাড়া(বরিশাল)প্রতিনি
উপজেলার সলিয়া বাকপুর ইউনিয়নের শাখারিয়া গ্রামের মোঃ কুদ্দুস খানের প্রবাস ফেরত ছেলে আলাউদ্দিন গত ১৪ জুলাই বানারীপাড়া পৌর সভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মোঃ দুলাল খান’র মেয়ে সুর্বণাকে রেজিস্ট্রির মাধ্যমে বিয়ে করেন। দীর্ঘ ৫ বছর সম্পর্কের পর তাদের এ বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামীকে নিয়ে স্বর্গ সুখের ঘর পাতার স্বপ্ন দেখে সুবর্ণা কিন্তু তার সে স্বপ্ন দুঃস্বপ্নে পরিণত হয়েছে তার শ্বশুর বাড়ির লোকদের কারণে।
কান্নাজড়িত কন্ঠে সুবর্ণা বার বার মুর্চ্ছা যাচ্ছে আর বলছে আমার স্বামীকে এনে দিন, আমার স্বামীকে আমার শ্বশুর বাড়ির লোকজন আটকে রেখেছে। দীর্ঘ ৫ বছর আলাউদ্দিন সুবর্ণাকে বানারীপাড়া পৌর শহরে একটি বাসা ভাড়া করে রাখে। ঘর মালিকের সঙ্গে সুবর্ণাকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে আলাউদ্দিন ঘর ভাড়া করে দেয়। সুবর্ণার পরিবার তাকে বার বার অন্যত্র বিয়ে দিতে চাইলেও আলাউদ্দিন মালয়েশিয়া থেকে হাত কেটে নিজেকে শেষ করে দেয়ার হুমকি সহ সুবর্ণাকে মানসিক ব্লাকমেইলিং করেন। ফলে সরল বিশ্বাসে সুবর্ণা অন্যত্র বিয়ে করেননি। বিদেশ থেকে এসেই আলাউদ্দিন ছুটে আসে সুবর্ণার কাছে ।
পরে তারা কাজীর মাধ্যমে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের দিন সুবর্ণাকে সময় দিয়ে শ্বাশুরির কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আলাউদ্দিন তার বন্ধুর সাথে চলে যায় নিজ বাড়ি শাখারিয়া গ্রামে। সেই থেকে অদ্যবধি স্ত্রীর কোন খোঁজ খবর নিচ্ছেন না আলাউদ্দিন। স্বামীর সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ভেঙ্গে পড়েন সুর্বণা। স্বামীর মুঠোফোনে বার বার কল দিয়ে না পেয়ে সোম ও মঙ্গলবার দু’দফা বেশ কয়েকটি ঘুমের ওষুধ খেয়ে সে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। সুবর্ণা বর্তমানে নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন।