ঊষার আলো রিপোর্ট: নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে সুপ্রিম কোর্টে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ বুধবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে ভার্চুয়াল কার্যক্রম শুরু হয়।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (১৮ মঙ্গলবার) ভার্চুয়াল কার্যক্রম বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রদান করেন প্রধান বিচারপতি। এরপর বিকেলে এ সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর। এদিকে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হবে হাইকোর্ট বিভাগের কার্যক্রম।
গত ১ জানুয়ারি ৩৭০ জন নতুন রোগী শনাক্তের খবর দিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ৬ জানুয়ারি তা এক হাজার ছাড়িয়ে যায়। পরে গত ১০ জানুয়ারি তা দুই হাজার এবং এরপর তিন দিনের মাথায় গত ১৩ জানুয়ারি তিন হাজার ছাড়িয়ে যায়। ১৭ জানুয়ারি ৬ হাজার ৬৭৬ জনের সংক্রমণের খবর আসে।
২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির সঙ্গে সমন্বয় করে দেশের সব আদালতেও সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। ওই সময় দেশের বিচারব্যবস্থা কার্যত বন্ধ ছিল। পরে সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধে ১১ মে দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে প্রথম ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমতে থাকলে প্রথমে কিছু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক উপস্থিতিতে নিম্ন আদালতের কার্যক্রম চালু করা হয়। পরে হাইকোর্টের কয়েকটি বেঞ্চেও শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম চালু করা হয়। পাশাপাশি ভার্চুয়াল আদালতও চালু থাকে।
তবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত, অর্থাৎ আপিল বিভাগ এবং চেম্বার আদালত ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মেই চলে আসছিল। দেড় বছরের বেশি সময় এ প্রক্রিয়ায় বিচারকাজ চলার পর গত ১ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ শুরু হয়। তবে নতুন করে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ভার্চুয়ালি চালানোর সিদ্ধান্ত আসে।
সপ্তাহে চার দিন (রবি, সোম, মঙ্গল ও বুধবার) ভার্চুয়ালি বিচারকাজ পরিচালনা করবেন চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। এমন প্রেক্ষাপটে সোমবার ভার্চুয়াল আদালতে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন প্রধান বিচারপতি।