ঊষার আলো ডেস্ক : অশান্ত মণিপুর পরিদর্শনে সময় বের করতে পারছে না ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একের পর এক সহিংস ঘটনার পরও মোদি মণিপুর নিয়ে নীরব। বিরোধীদের আহ্বান উপেক্ষা এবং সমালোচনা উড়িয়ে রাষ্ট্রীয় সফরে কুয়েত গেলেন তিনি।
কুয়েতের আমির শেখ মেশাল আল-আহমদ আল-জাবের আল-সাবাহ-এর আমন্ত্রণে ২দিনের এ সফরের আজ দ্বিতীয় দিন। দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর থেকে ফুটবল টুর্নামেন্টের মতো একগুচ্ছ কর্মসূচিতে সারবেন এ সময়ে।
শনিবার কুয়েতের মিনা আবদুল্লাহ এলাকায় উপসাগরীয় স্পিক লেবার ক্যাম্প পরিদর্শন করেন মোদি, যেখানে প্রায় দেড় হাজার ভারতীয় প্রবাসী কর্মী রয়েছে।
১৯৮১ সালে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী কুয়েত সফরে গিয়েছিলেন। তার পর আর কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী কাতারে যাননি। মোদির সফরের মধ্য দিয়ে ৪৩ বছর পর কুয়েতের মাটিতে প্রথম কোনো ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী পার রাখলেন।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা অরুণকুমার চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর এই সফর ঐতিহাসিক। দুদেশের মধ্যে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিল্প, প্রতিরক্ষা ইত্যাদি নিয়ে আলোচনা হবে।
শনিবার কুয়েতের উদ্দেশে পাড়ি দেওয়ার আগে মোদি জানান, তিনি এই সফর নিয়ে উচ্ছ্বসিত। কুয়েতের যুবরাজ, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের অপেক্ষায় রয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার অনুসারে, কুয়েতে শীর্ষ ব্যবসায়িক অংশীদারদের তালিকায় ভারতের স্থান উপরের দিকে। এ ছাড়াও সে দেশের জনসংখ্যার একটা বড় অংশই প্রবাসী ভারতীয়। কুয়েতের শ্রমশক্তির ৩০ শতাংশই ভারতের নাগরিক। ভারতে অপরিশোধিত তেল সরবরাহকারী দেশের তালিকায় কুয়েত ষষ্ঠ স্থানে।
এদিকে মোদির কুয়েত সফরকে কটাক্ষ করেছে বিরোধী দল কংগ্রেস। টেনে এনেছে মণিপুর প্রসঙ্গও। কেন তিনি অশান্ত মণিপুরে যাচ্ছেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তারা। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ এ বিষয়ে জানান, মণিপুরের মানুষের জন্য তারিখ বার করতে পারছেন না মোদি। অথচ কুয়েতের যুবরাজের সঙ্গে দেখা করার সময় আছে তার।
ঊষার আলো-এসএ