বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলায় মসজিদ কমিটির দ্বন্দ্বের জের ধরে সাবেক সেনা সদস্য ও ইউপি মেম্বরের বসতবাড়িতে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। হামলাকারীরা নারী ও মসজিদ কমিটির সভাপতি সাবেক সেনা সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে লাল খানসহ একই পরিবারের ৪ জনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে। এতে গুরুতর আহত লাল খানকে (৫৫) পুলিশের সহায়তায় এ্যাম্বুলেন্সে করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আর এ ঘটনাটি হয়েছে শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে বিকেলের দিকে উপজেলার উত্তর চিংড়াখালী খান বাড়ির জামে মসজিদ এলাকায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধিন লাল খান শনিবার সকালে জানান, হামলাকারীরা শুধু আমাকে হত্যার চেষ্টাসহ আমার বৃদ্ধা মা মজিয়া বেগম (৭৮), ছোট ভাই সাবেক মেম্বার আসাদ খান (৩২) ও অপর ভাই দুলাল খান কে (৩৮) পিটিয়ে আহত করে। এদের কে মোরেলগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
লাল খানের ছোট ভাই সাবেক মেম্বার আসাদ খানের স্ত্রী স্কুল শিক্ষক মাহমুদা আক্তার বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ওই ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার আরিফ সরদারের নেতৃত্বে ৫/৬ জনের একটি বাহিনী তাদের বাড়িতে অনধিকার ঢুকে প্রথমে লাল খানকে মারপিট করে। এ সময় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা তাকে বাঁচাতে গেলে তাদেরকেও আরিফ বাহিনীর লোকেরা মারপিট করে।
এ অবস্থায় আমরা ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে সহযোগিতা চাইলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে এবং সাবেক সেনা সদস্য লাল খান কে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে দেয়।
ঘটনা বিষয়ে হামলার নেতৃত্বদানকারী ইউপি সদস্য আরিফ সরদার বলেন, মসজিদের হিসাব চাওয়ায় লাল খান তার ওপর চড়াও হলে এক পর্যায়ে সে আত্মরক্ষার জন্য লাঠি দিয়ে লাল খানের মাথায় আঘাত করেন।
এ বিষয়ে মোরেলগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ সামসুদ্দিন বলেন, ৯৯৯ নম্বরের মাধ্যমে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করা হয়। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।