ঊষার আলো ডেস্ক : কর্পূর গাছ থেকে বাই প্রডাক্ট হিসেবে সাদা রঙয়ের এক প্রকারের উপাদান পাওয়া যায়, যা আমাদের কাছে কর্পূর নামে চিনি। প্রাচীনকাল হতেই বিভিন্ন দেশে কর্পূরের ব্যবহার হয়ে আসছে।
এটি প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন হয়, এছাড়া রাসায়নিকভাবেও তৈরি করা যায় এটি। কীটপতঙ্গ দূর করা ও পরিবেশ বিশুদ্ধ রাখার উদ্দেশ্যে ঘরে কর্পূর ব্যবহৃত হয়ে থাকে। তবে এটি খাওয়া যায় না, মুখে গেলে মারাত্মক বিষক্রিয়া হতে পারে। কিন্তু চিকিৎসাক্ষেত্রে এ উপাদানটির রয়েছে অদ্ভুত কিছু উপকারিতা।
১. শরীরের ব্যথা দূর করে: এক গবেষণায় দেখা যায়, কর্পূর মাংসপেশিসহ শরীরের অন্য সব অংশের ব্যথা দূর করে থাকে। কর্পূর মাংসপেশিতে রক্ত সরবরাহ বাড়িয়ে ব্যথা দূর করে। কাজে শরীরের ব্যথাযুক্ত স্থানে কর্পূরের তেল মালিশ করলে উপকার পাবেন।
২. কফ দূর করে: এক গবেষণায় জানা যায়, পুরোনো কফ সারাতে কর্পূর বেশ উপকারি। এর সুগন্ধ কফ এবং ঠান্ডা সারায়। এক টেবিল চামচ আমন্ড অয়েলের সাথে কয়েক ফোঁটা কর্পূরের তেল মিশিয়ে তা বুকে মালিশ করলে উপকার পাওয়া যায়।
৩. নাক বন্ধ হওয়া: সর্দির ফলে নাক বন্ধ হয়ে গেলে কর্পূরের তীব্র গন্ধ নাক বন্ধ হওয়া দূর করে থাকে। এক্ষেত্রে গরম সরিষার তেলের সাথে কর্পূর বা কর্পূরের তেল মিশিয়ে সেই তেল আস্তে আস্তে নাকের চারপাশে ও বুকে মালিশ করতে হবে। কিন্তু সে তেল কোনোভাবেই মুখে দেয়া যাবে না, কারণ তা মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
৪. হজম ও বিপাক ক্রিয়া উন্নত করে: গবেষণায় দেখা গিয়েছে, প্রাকৃতিকভাবে উৎপন্ন কর্পূর অল্প পরিমাণে খেলে তা হজম ও বিপাক ক্রিয়া উন্নত করে। কিন্তু সেক্ষেত্রে অবশ্যই আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৫. মুখমণ্ডলের ইনফেকশন দূর করে: ডেমোডক্স পরজীবীর জন্য আমাদের মুখমণ্ডলে অনেক সময় ডেমোডিসাইডোসিস নামের এক ধরনের ইনফেকশন হয়ে থাকে। এক ফলে মুখে একজিমা বা লাল হয়ে চুলকানির মতো সমস্যা দেখা দেয়। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, কর্পূর তেল ত্বকের এ ইনফেকশন ৫-১০ দিনের মধ্যে দূর করে। কিন্তু যদি বেশি সংক্রমণ হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শে কর্পূর তেল ব্যবহার করতে হবে।
(ঊষার আলো-এফএসপি)