ঊষার আলো রিপোর্ট : কানাডার ভিসার আবেদন করার পর এক মাসেও ভিসা পেলেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান। আর ভিসা না পাওয়ায় কানাডায় অনুষ্ঠিত একটি কনফারেন্সেও যোগ দিতে পারেননি। এ নিয়ে নানা সমালোচনার জবাবে আখতারুজ্জামান বলেছেন, ‘যদু-মধু, রহিম-করিম কে কী বলল এগুলো সব দেখার এবং শোনার সময় আমাদের নেই।’
অনেকে বিষয়টি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছেন উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে কানাডা হাইকমিশন এখনো ভিসার আবেদন বাতিল করেনি, এটি এখনো প্রসেসিংয়ে আছে।’
তিনি বলেন, প্রথম ভিসা হলে তারা ২-৩ মাস সময় নেয়। ইয়র্ক ইউনিভার্সিটি থেকে বিষয়টা আমাদের জানানো হয়েছিল। কিন্তু আমাদের ছুটি পেতে অনেক ক্লিয়ারেন্স লাগে তাই দেরি হয়ে গেল। পরে ১৫ জুন আমরা আবেদন করলাম। তারা এখনো ব্যাপারটা প্রসেসিংয়েই রেখেছে।
অধ্যাপক আখতারুজ্জামান বলেন, কত ধরনের অশুভ মানুষ থাকে, কত ধরনের অসৎ উদ্দেশ্য, রাজনীতি, কত কিছু থাকে। সবকিছু আমলে নেওয়ার আমাদের দরকার নেই। যথাযথ কর্তৃপক্ষ থেকে বললে তবেই না আমরা বুঝব। এজন্য যদু-মধু, রহিম-করিম কে কী বলল এগুলো সব দেখার এবং শোনার সময় আমাদের নেই।
উপাচার্যের ভিসা না পাওয়ার বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেতরে ও বাইরে নানা ধরনের আলোচনা সমালোচনা চলছে। পদাধিকার বলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কূটনৈতিক পাসপোর্টের অধিকারী হয়ে থাকেন বলে জানা গেছে।
‘অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ ইউনিভার্সিটিজ সিম্পোজিয়াম-২০২৩’-এ যোগ দিতে কানাডায় যাওয়ার কথা ছিল উপাচার্য আখতারুজ্জামানের। বুধবার এ সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আমন্ত্রণ পেলেও ভিসা না পাওয়ায় সেখানে অংশ নিতে পারছেন না তিনি।
ঊষার আলো-এসএ
