UsharAlo logo
শুক্রবার, ১৭ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যশোরে মানববন্ধন ও স্বারকলিপি

যশোর প্রতিনিধি
জানুয়ারি ১৬, ২০২৫ ১০:৪২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

রেস্তোরাঁ খাতের মূল্য সংযোজন কর-ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক কমানোর দাবি

রেস্তোরাঁ বর্ধিত ১৫% ভ্যাট ও ১০% এসডি প্রত্যাহারের দাবিতে ও খাতে মূল্য সংযোজন কর-ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রতিবাদে যশোরেও মানববন্ধনও স্বারকলিপি পেশ করেছে বাংলাদেশ রেস্তরা মালিক সমিতি যশোর শাখা। বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) সকালে প্রেসক্লাব যশোরের সামনে সমিতির সভাপতি শফিকুর আজাদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সাধারন সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন দিলসান, যুগ্ম সম্পাদক রানা চৌধূরী,সাজু খাদেম,আহসান কবির মামুন, হৃদয়, মনিরসহ যশোরের সকল রেস্টুরেন্টের মালিক ও শ্রমীকরা।মানববন্ধন শেষে যশোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজিবুল আলমের কাছে স্বারকলিপি প্রদান করেন মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা।

স্বারকলিপিতে উল্লেখ করা হয় সারা দেশে ৪ লাখ ৮৫ হাজার রেস্টুরেন্ট রয়েছে। এর সাখে প্রায় ২ কোটি মানুষ এই সেক্টরের সাখে জড়িত। রেস্তোরাঁ ব্যবসার ওপর ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হচ্ছে। এ ছাড়া সম্পূরক শুল্ক (এসডি) নামে আরও একটি ১০ শতাংশ কর আগে থেকেই আছে। অর্থাৎ ভ্যাট ১৫ শতাংশ ও সম্পূরক শুল্ক (এসডি) ১০ শতাংশ যোগ করা হলে ভোক্তাদের মোট ২৫ শতাংশ কর দিতে হবে। গুলশান ও বনানীর মানুষেরা এই ভ্যাট দিতে পারেন, কিন্তু সাধারণ মানুষের পক্ষে এটা দেওয়া সম্ভব নয়, বিষয়টি অবাস্তব। পৃথিবীর কোথাও খাবারে এত ভ্যাট নেই।

মালিক সমিতি মনে করছে, গত দুই বছরের বেশি সময় ধরে দেশে যেখানে উচ্চ মূল্যস্ফীতি বিরাজ করছে, সেখানে ভোক্তার কাছ থেকে কোনোভাবেই ২৫ শতাংশ কর আদায় করা সম্ভব নয়। চাইলেই খাবারের দাম বাড়ানো যায় না। অথচ গত সরকারের আমলে পরিষেবার ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে; সেই সঙ্গে বেড়েছে শ্রমিকদের মজুরি। খাদ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির জের তো আছেই। উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে এমনিতেই রেস্তোরাঁ ব্যবসা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কমে গেছে। এ অবস্থায় ভ্যাট বাড়লে পরিস্থিতির আরও অবনতি হবে।
দেশের সব রেস্তোরাঁ ভ্যাটের আওতায় আনতে তাঁরা এনবিআরকে সহায়তা করতে প্রস্তুত। বর্তমানে দেশে ভ্যাট নিবন্ধন নেওয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫ লাখ ২৫ হাজার, যদিও নিয়মিত ভ্যাট দিচ্ছে সাড়ে তিন লাখ। ভ্যাটের হার না বাড়িয়ে সবাইকে ভ্যাটের আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

দেশের ৭০% এখনো ভ্যাটের আওতায় বাইরে। সরকার করের আওয়াতা না বাড়িয়ে কিম্বা কর ফাকি রোধ না করে সরল রাস্তার সমাধান হিসেবে ভ্যাট বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এছাড়া বর্তমানে দেশের ১২টি সংস্থা আমাদেও উপর তদরকি করে। এটি একটি সংস্থার উপরে দায়িত্ব দিলে সবকিছু সঠিক এবং সুন্দরভাবে পরিচালিত হবে।