যুক্তরাজ্যে গৃহহীন অভিবাসীর সংখ্যা তীব্রভাবে বেড়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) উদ্বাস্তু, অভিবাসী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলোর একটি নেটওয়ার্ক এই তথ্য জানিয়েছে।
শতাধিক সংস্থাকে একত্রিত করে তৈরি প্লাটফর্মটি তাদের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০২৩ সালে গৃহহীন অভিবাসীর সংখ্যা বেড়েছে দেশটিতে। প্রতিবেদনটি বলছে, গত বছরের এপ্রিল থেকে চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত এক হাজার ৯৪১ জন অভিবাসীকে তাদের কাঠামোগুলোতে অস্থায়ী বাসস্থানের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে।
নো অ্যাকমোডেশন নামের নেটওয়ার্কের দাবি, তারা আগের বছরের তুলনায় বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে দ্বিগুণেরও বেশি গৃহহীন মানুষকে স্থান দিয়েছে।
যাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে তারা সবাই যুক্তরাজ্যে শরণার্থী মর্যাদা বা রিফিউজি স্ট্যটাসধারী। এই সময়সীমার ঠিক আগের বছর সংখ্যাটি ছিল ৯৭৭ জন।
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নো অ্যাকমোডেশন নেটওয়ার্ক ব্রিটিশ সরকারের আশ্রয় এবং অভিবাসন সংক্রান্ত প্রতিকূল নীতির নিন্দা জানিয়েছে। তাদের অভিযোগ, সরকারের নীতি হাজার হাজার শরণার্থী এবং অভিবাসীদের কোনও আবাসনের সমাধান ছাড়াই ছেড়ে দিচ্ছে।
এদিকে গৃহহীন ব্যক্তিদের সংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে আশ্রয়প্রার্থীদের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি, দ্রুত জরুরি আবাসন ত্যাগ করতে আশ্রয়প্রার্থীদের বাধ্য করা এবং বিগত রক্ষণশীল সরকার আশ্রয় আবেদনে বিপুল ব্যাকলগকে দায়ী করেছে নো অ্যাকমোডেশন নেটওয়ার্ক।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এক বছরে নেটওয়ার্কটির আওতায় আবাসন সহায়তা পাওয়া লোকদের মধ্যে শরণার্থীর অনুপাত ২৬ শতাংশ থেকে ৪৭ শতাংশে উঠে এসেছে।
নেটওয়ার্কটির পরিচালক ব্রিজেট ইয়ং বলেছেন, ‘‘আমাদের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে কীভাবে ব্রিটেনের আশ্রয় ব্যবস্থা প্রতি বছর হাজার হাজার লোককে অপ্রয়োজনীয়ভাবে নিঃস্ব এবং গৃহহীনতার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।’’ সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান