UsharAlo logo
শনিবার, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রবীন্দ্র পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের একজন প্রধান সাহিত্যিক যতীন্দ্রমোহন বাগচী

usharalodesk
জুন ৩, ২০২১ ৫:২১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : বাঙালি কবি যতীন্দ্রমোহন বাগচী নদিয়া জেলার জমশেরপুরে জমিদার পরিবারে (বর্তমান বাগচী জমশেরপুর) ১৮৭৮ সালের  ২৭ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন।

যতীন্দ্রমোহন তার জীবনে বহু সাহিত্যিক পত্রিকায় গঠনমূলক অবদান রেখেছেন। তিনি ১৯০৯ থেকে ১৯১৩ পর্যন্ত মানসী পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন এবং ১৯২১ ও ১৯২২ সালে তিনি যমুনা পত্রিকার যুগ্ম সম্পাদক হিসেবেও কাজ করেন। পরে ১৯৪৭ থেকে ১৯৪৮ পূর্বাচল পত্রিকার মালিক ও সম্পাদক ছিলেন।

তার রচনায় তার সমকালীন রবীন্দ্র সাহিত্যের প্রভাব বেশ লক্ষনীয়। তাকে রবীন্দ্র পরবর্তী বাংলা সাহিত্যের একজন প্রধান সাহিত্যিক হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে। পল্লী-প্রীতি তার কবিমানসের অন্যতম এক প্রধান বৈশিষ্ট্য। তার কাব্যবস্তু নিসর্গ সৌন্দর্যে চিত্ররূপে পরিপূর্ণ। তার লেখায় গ্রামবাংলার শ্যামল স্নিগ্ধ রূপ উন্মোচনের প্রয়াস চালান তিনি। গ্রামজীবনের অতি সাধারণ বিষয় এবং সুখ-দুঃখ তিনি খুবই সহজ সরল ভাষায় সহৃদয়তার সাথে তাৎপর্যমণ্ডিত করে প্রকাশ করেছেন।

যতীন্দ্রমোহন বাগচীর কাব্যগ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে: অপরাজিতা, বন্ধুর দান, লেখা, মহাভারতী, রেখা, জাগরণী, কাব্যমালঞ্চ, নীহারিকা, নাগকেশর, পাঞ্চজন্য ও পথের সাথী প্রভৃতি। তার লেখা উপন্যাস: পথের সাথী

তবে যতীন্দ্রমোহন বাগচীর লেখা অন্যতম বিখ্যাত কবিতা হল ‘কাজলা দিদি’।

তিনি ১৯৪৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি তার শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

(ঊষার আলো-এফএসপি)