ঊষার আলো ডেস্ক : আগামীকাল রবিবার (২৯ জানুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজশাহীতে আসছেন। ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠে আয়োজিত জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে তাঁর। সেখানে কমপক্ষে পাঁচ থেকে সাত লাখ মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।
শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) বিকেলে রাজশাহীতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থল ঐতিহাসিক মাদরাসা মাঠ পরিদর্শন করেন রাসিক মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মাঠ পরিদর্শন শেষে মেয়র বলেন, জনসভায় রাজশাহী জেলা ও মহানগর, নাটোর, নওগাঁ এবং চাঁপাইনবাবগঞ্জের ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি রাজশাহী বিভাগের অন্য জেলাগুলো থেকেও যদি আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা আসতে চান, আসবেন। আমরা কমপক্ষে পাঁচ থেকে সাত লাখ মানুষের সমাগম আশা করছি।
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, যদিও এই মাদ্রাসা মাঠ জনসভাস্থল, কিন্তু পুরো রাজশাহী শহর লোকে লোকারণ্য হবে। যেভাবে মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে, কোনোভাবেই এ মাঠে জায়গা দেওয়া সম্ভব নয়।
গত ১৪ বছরে এই রাজশাহী শহর বদলে গেছে। রাজশাহী শহরে যে ১৪ বছর আগে এসেছে, এখন এসে সে রাজশাহী শহরকে চিনতে পারে না। এই উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণে হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মন্ত্রী আরও বলেন, আমরা সারাবছর মানুষের পাশে থাকি। আমরা শুধু এখন ভোট চাইছি তা নয়, আমরা গত ১৪ বছর মানুষের সাথে থেকেছি। মানুষের সুখে-দুঃখে, অভিযোগে শুধু আওয়ামী লীগকেই পাওয়া যায়। করোনা মহামারীর সময় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী ছাড়া কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি।
রাসিক মেয়র বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার যে পরিকল্পনা, সেটি প্রধানমন্ত্রীর মুখে শুনতে চায় রাজশাহীর মানুষ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ করতে চেয়েছিলেন, তা করেছেন। আমরা সুফল পাচ্ছি। এখন তিনি তরুণদের নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে চান, সেটিও হবে। মাঠ শুধু নয়, মাঠের বাইরেও প্রচুর মানুষ থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কথা শুনতেই মানুষের ঢল নামবে জনসভায়।
এই জনসভা নির্বাচনী জনসভা কি-না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, নির্বাচনের আগের বছর তো নির্বাচনী বছর হিসেবেই কাউন্ট করা হয়। প্রধানমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, ‘আমি নির্বাচনী প্রচারণায় নেমে গেলাম’। নির্বাচন এলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জনগণের মধ্যে যেন উচ্ছ্বাস-উদ্দীপনা দেখা দেয়। এর আগেই প্রধানমন্ত্রী রাজশাহীর জনসভা থেকে জনগণকে দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন।
পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আলী কামাল, সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা প্রমুখ।