ঊষার আলো ডেস্ক : করোনা নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে সরকার। সোমবার (২৮ জুন) থেকে সারাদেশে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত দেশের সব অফিস আদালত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, যানবাহন বন্ধ থাকবে। এ সময়ে শুধু জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে নিয়োজিত যানবাহন চলাচল করতে পারবে।
শুক্রবার সরকারের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন।
নতুন এই নির্দেশনা অনুযায়ী, সোমবার থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত দেশব্যাপী কঠোর লকডাউন পালন করা হবে। জরুরি কারণ ছাড়া বাড়ির বাইরে কেউ বের হতে পারবেন না। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সকল সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী ব্যতীত সকল প্রকার যানবাহন চলাচলও বন্ধ থাকবে।
অ্যাম্বুলেন্স ও চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজের জন্য শুধু যানবাহন চলাচল করতে পারবে। এছাড়া গণমাধ্যম এই বিধিনিষেধের আওতামুক্ত থাকবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে ১৪ দিনের ‘শাটডাউন’-এর সুপারিশ করে কভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় পরামর্শক কমিটি। কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ স্বারিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কভিড-১৯ এর বিশেষ ডেল্টা প্রজাতির সামাজিক সংক্রমণ চিহ্নিত হয়েছে এবং দেশে ইতিমধ্যে করোনার প্রকোপ অনেক বেড়েছে। এই প্রজাতির জীবাণুর সংক্রমণ মতা তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বিশ্লেষণে সারা দেশেই উচ্চ সংক্রমণ, পঞ্চাশোর্ধ্ব জেলায় অতি উচ্চ সংক্রমণ ল্য করা গেছে। রোগ প্রতিরোধের জন্য খ- খ-ভাবে নেওয়া কর্মসূচির উপযোগিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়- অন্যান্য দেশ, বিশেষত পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অভিজ্ঞতা কঠোর ব্যবস্থা ছাড়া এর বিস্তৃতি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। ভারতের শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞের সংগেও আলোচনা করা হয়েছে। তাঁদের মতামত অনুযায়ী, যেসব স্থানে পূর্ণ শাটডাউন প্রয়োগ করা হয়েছে সেখানে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ হয়েছে।
এরপর জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনও শাটডাউন-এর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, জাতীয় পরামর্শক কমিটি যে সুপারিশ করেছে, সেটি যৌক্তিক। ইতিমধ্যে সরকারেরও এই ধরনের প্রস্তুতি আছে। সরকারও কঠোর বিধিনিষেধের চিন্তা-ভাবনা করছে। যে কোনও সময় সরকার তা ঘোষণা দেবে।