ঊষার আলো রিপোর্ট : লিথুয়ানিয়ায় এতদিন সরকার চালিয়েছে রক্ষণশীল দল। এবারের ভোটে ইউক্রেন যুদ্ধ এবং মূল্যবৃদ্ধি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পেয়েছে।
সোশ্যাল ডেমোক্র্যাট নেতা ভিলিজা ব্লিনকেভিকিউট সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তার দল নির্বাচনের আগেই বেশ কিছু সমমনস্ক দলের সঙ্গে জোট গঠনের আলোচনা সেরে রেখেছিল। এবার সেই জোট সমীকরণ চূড়ান্ত হবে। জোটের আলোচনা হয়ে গেলে সরকার গঠনের দিকে পা বাড়ানো হবে।
সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেছেন, ”শহর, গ্রাম, ছোট শহর সর্বত্র মানুষ একটি বিষয় স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তারা পরিবর্তন চেয়েছিলেন। নির্বাচনের ফলাফলে মানুষের এই মনোভাব স্পষ্ট।”
অন্যদিকে বর্তমান সরকার নিজেদের হার স্বীকার করে নিয়েছে। তারা সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটদের অভিনন্দন জানিয়েছে।
লিথুয়ানিয়ার সঙ্গে রাশিয়া এবং বেলারুশের লম্বা সীমান্ত আছে। রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণের পর থেকেই গোটা দেশে আলোড়ন পড়ে যায়। রাশিয়া এরপর লিথুয়ানিয়াও আক্রমণ করতে পারে এমন আশঙ্কা তৈরি হয়। বস্তুত এর পরেই ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় লিথুয়ানিয়া। অন্যদিকে তারা ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও অংশ।
শুরু থেকেই এগিয়ে
ভোট গণনার প্রথম রাউন্ড থেকেই এগিয়ে এগিয়ে ছিল বিরোধীরা। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব বিরাটভাবে পড়েছে এবারের নির্বাচনে। এছাড়াও কোভিডের সময় সরকার যেভাবে কাজ করেছিল, তাতেও সন্তুষ্ট ছিলেন না সাধারণ মানুষ। বস্তুত, কোভিডের সময় থেকেই মূল্যবৃদ্ধি শুরু হয় লিথুয়ানিয়ায়। এখনো তা নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। পাশাপাশি সরকারের একের পর এক দুর্নীতিও সামনে এসেছে। এই সমস্ত কিছু নিয়েই শাসকের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল জনতার। ভোটে তার স্পষ্ট প্রভাব দেখা যাচ্ছে।
ঊষার আলো-এসএ