UsharAlo logo
বৃহস্পতিবার, ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসন : ব্যক্তিগত চিকিৎসক

koushikkln
নভেম্বর ২৮, ২০২১ ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ঊষার আলো ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার লিভার সিরোসিসের কারণে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দেশে ও উপমহাদেশে তাঁর চিকিৎসার ব্যবস্থা নেই। তাঁকে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র বা জার্মানির বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা করানো প্রয়োজন বলে তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন। খালেদা জিয়ান চিকিৎসায় গঠিত দলের মেডিক্যাল বোর্ডের চিকিৎসকরা রবিবার (২৯ নভেম্বর) রাতে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
তারা জানিয়েছেন, বিএনপি নেত্রীর যকৃত বা লিভারে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। একবার এই রক্তক্ষরণ সামাল দেয়া গেছে। তবে এখন তার যে অবস্থা, সেটি দ্বিতীয়বার সামাল দেয়া কঠিন হবে। বাংলাদেশে দুই থেকে তিন বার রক্তক্ষরণ সামাল দেয়ার কারিগরি সুযোগ নেই দাবি করে যত দ্রুত সম্ভব তাকে দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়ার কথা বলেছেন তারা। চিকিৎসকদের দাবি, বেগম জিয়ার চিকিৎসা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিতেই সম্ভব।
খালেদা জিয়ার সবশেষ শারীরিক পরিস্থিতি নিয়ে তার চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যল বোর্ডের প্রধান অধ্যাপক ডা. এ এফ এম সিদ্দিকী এসব জানান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অধ্যাপক ডা. এ কিউ এম মোহসীন, অধ্যাপক ডা. শামসুল আরেফিন, অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, ডা. আল মামুন।
তিনি বলেন, বর্তমান খালেদা জিয়ার পরিস্থিতি স্থিতিশীল। তবে যেকোন সময় খারাপ হতে পারে। তার শারীরিক ঝুঁকি সর্বোচ্চ। যেকোন সময় বিপদ হতে পারে।

এফ এম সিদ্দিকী বলেন, হঠাৎ করেই ম্যাডাম দুর্বল হয়ে পড়ছিলেন। অত্যন্ত ফ্যাকাশে হয়ে পড়েছেন তিনি। তার হিমোগ্লোবিন ড্রপ করেছে। দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার লিভারের সমস্যার কথা বিবেচনা করে ভর্তি করানো হয়। রাত ৯টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়া রক্ত বমি করেন। প্রেসারের সমস্যা দেখা দেয়। খাদ্য নালী দিয়ে ব্লিডিং হতে থাকে। আমরা দ্রুত রক্তের ব্যবস্থা করি। ব্লিডিং বন্ধ করতে সক্ষম হই। এ সময় রক্ত দিতে না পারলে হার্ট ফেল করতে পারত। কারণ তিনি ডায়াবেটিস ও হার্টের রোগী।
তিনি আরো বলেন, ভর্তি করার পর ম্যাসিভ রক্তবমি হয়। কলাপস করে সকে চলে গিয়েছিলেন। লাইভ সেভিং ফ্লুইড দেয়া হয়, রক্ত দেয়া হয়। দুই ব্যাগ প্লাজমা দেয়া হয়। লিভারে রক্তক্ষরণ হয়ে। প্রাথমিক ভাবে রক্ত বন্ধ করা হয়। পায়ুপথেও রক্ত যাচ্ছিল।
চিকিৎসকরা জানান, লিভারে রক্তক্ষরণ বন্ধে শুধু দেশের না উপমহাদেশের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এর চেয়ে বেশী কিছু আর করার নাই। কিন্তু ঝুঁকির মাত্রা লিভারে আবারো রক্তক্ষরণ হওয়ার সম্ভাবনা আগামী সপ্তাহে ৫০ ভাগ বাড়বে, ৬ সপ্তাহে ৭০ ভাগ বাড়বে ।