ঊষার আলো ডেস্ক : হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রায় ২ কেজি স্বর্ণসহ দুই জনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন হেল্পলাইন স্টাফ আমজাদ এবং দুবাই থেকে আসা যাত্রী জুয়েল (৩০)।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিমানবন্দরের গ্রিন চ্যানেল অতিক্রমের পর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) গোয়েন্দা সদস্যরা তাদের আটক করে। এসময় তাদের কাছে ১৬টি স্বর্ণের বার এবং ৯৯ গ্রাম স্বর্ণালংকারসহ মোট ১৯৫৫ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করা হয়।
আটক যাত্রী জুয়েলের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলায়। সে মূলত দুবাই প্রবাসী। আর হেল্পলাইন স্টাফ আমজাদের বাড়ি গাজীপুর জেলার পূবাইল উপজেলায়।
এয়ারপোর্ট এপিবিএনের অতিরিক্ত সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক জানান, রোববার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে এমিরেটস এয়ারলাইনসের একটি ফ্লাইটে দুবাই থেকে আসেন জুয়েল (৩০)। বিমানবন্দরে অবতরণের পর আগে থেকে ফোনে যোগাযোগ করে রাখা হেল্পলাইন স্টাফ আমজাদের (৩৭) সঙ্গে দেখা করেন।
এ সময় ৪ নাম্বার এরাইভাল লাগেজ বেল্টের কাছে স্টাফ আমজাদের কাছে একটি কালো রংয়ের পাওয়ার ব্যাংক এবং টেপে মোড়ানো ৪ পিস স্বর্ণের বার দেন জুয়েল। এসময় তার কাছে আর ২টি স্বর্ণের বার এবং ৯৯ গ্রাম গয়না ছিল।
এপিবিএনের গোয়েন্দা দল সন্দেহের ভিত্তিতে তাদের নজরে রাখে এবং গ্রিন চ্যানেল পার হওয়ার পর তাদের দুজনকেই আটক করে। এসময় জুয়েলের কাছে থাকা পাওয়ার ব্যাংকের মধ্যে সুকৌশলে লুকিয়ে রাখা ১০টি স্বর্ণের বার এবং তার প্যান্টের পকেট তল্লাশি করে আরও ৪টি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। অপরদিকে যাত্রী জুয়েলকে তল্লাশি করে আরও ২টি স্বর্ণের বার এবং গয়নাসহ মোট ১৯৫৫ গ্রাম স্বর্ণ জব্দ করা হয়।
আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, দুবাইয়ে অবস্থানরত কবির নামে এক প্রবাসী বাংলাদেশি জুয়েলকে এই স্বর্ণের বার গহনা দিয়েছেন। এগুলো ঢাকা পর্যন্ত পৌঁছে দিতে পারলে তাকে (জুয়েল) মোটা অংকের টাকা দেওয়ার কথা ছিল। সে জনই তিনি বিমানবন্দরে কর্মরত হেল্পলাইন স্টাফ আমজাদের সঙ্গে যোগাযোগ এবং এই স্বর্ণ চোরাচালানের পরিকল্পনা করেন।
মোহাম্মদ জিয়াউল হক আরও জানান, অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে এর আগেও তারা একই পদ্ধতিতে সোনা চোরাচালান করেছেন। এক সপ্তাহ আগের একটি চোরাচালানে সহযোগিতা করায় আমজাদ ২০ হাজার টাকা পেয়েছিলেন।
অভিযুক্তদের নামে বিমানবন্দর থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলমান আছে বলেও জানান এই এপিবিএন কর্মকর্তা।