ছাত্র-জনতার আন্দোলনের জেরে গত ৫ অগস্ট দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে ‘আশ্রয়’ নেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের নিয়ম অনুসারে, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সেখানে বৈধভাবে থাকতে পারবেন তিনি। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) থেকে তিনি অবৈধ হয়ে যাচ্ছেন।
এখন প্রশ্ন হলো, এরপর কি শেখ হাসিনাকে ভারতে রাখা হবে নাকি অন্য কোথাও পাঠিয়ে দেওয়া হবে? তা নিয়ে এখনো সরকারিভাবে কিছু জানায়নি ভারত।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানান, এখন হাসিনা কোন ‘ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাসে’ ভারতে আছেন সেটা ঢাকা জানে না। এ নিয়ে তাদের ‘খোঁজখবর’ নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৫ অগস্ট বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। ২২ অগস্ট হাসিনা এবং তার আমলের মন্ত্রী এবং সংসদ সদস্যদের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করে অন্তর্বর্তী সরকার।
জানা যায়, যে কূটনৈতিক পাসপোর্টের দৌলতে শেখ হাসিনা ভারতে ৪৫ দিন থাকতে পারেন, তা পূর্ণ হচ্ছে বৃহস্পতিবার। রাজনৈতিক ও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে, শুক্রবার থেকে শেখ হাসিনা কোন আইনের বলে ভারতে থাকবেন।
ইতিমধ্যে, হাসিনার বিরুদ্ধে বাংলাদেশে ১৮০টির বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাকে সেখানে নিয়ে গিয়ে বিচার করাতে চাইছে মুহাম্মদ ইউনূস সরকার। হাসিনাকে তাদের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য ভারতের কাছে আবেদন করা হবে বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ।
তবে একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এই সময় বলছে, শেখ হাসিনার ভারতে থাকার মেয়াদ শেষ হলেও তাকে বাংলাদেশে পাঠানোর সম্ভাবনা নেই। তাহলে কীভাবে ভারতে থাকবেন তিনি? একাধিক মহলের যুক্তি, তিব্বতি ধর্মগুরু দলাই লামার মতোই ‘সাময়িকভাবে’ রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হতে পারে হাসিনাকে। তবে সবকিছু নির্ভর করছে ভারতের সিদ্ধান্তের উপরই।
এদিকে, আগেই মুহাম্মদ ইউনূস এবং অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার ব্যাপারে উদ্যোগ নেবে ঢাকা। কোন আইনে হাসিনা ভারতে রয়েছেন তা তাদের জানা নেই।